সোজা কথা ডেস্ক: দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। উপসর্গ নিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যার কোনও উল্লেখ নেই সরকাররে দেয়া প্রতিদিনের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তকৃত এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৫ জুলাই) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা মৃতের দু’রকম পরিসংখ্যান দিলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
বুলেটিনে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন ও নারী ১৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৫২ জনে। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৬২৪ জন ও নারী ৪২৮ জন।
একই ব্রিফিংয়ে বিভাগওয়ারি মৃতের পরিসংখ্যানে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৬০ জন, চট্টগ্রামে ৬৩৪ জন, রাজশাহীতে ১০২ জন, খুলনায় ৮৮ জন, বরিশালে ৭২ জন, সিলেটে ৮৬ জন, রংপুরে ৬১ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ১৫২ জন।
একই স্বাস্থ্য বুলেটিনে দুই রকম মৃতের পরিসংখ্যান করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সংশয় তৈরি করে। এছাড়া প্রতিদিনের বুলেটিনের বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। মেইলে পাঠানো স্বাস্থ্য বুলেটিনে যে তথ্য বলা হয় তার বাইরে অতিরিক্ত কোনো তথ্য থাকলে তা-ও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু গতকালের পাঠানো ই-মেইলে বিভাগীয় মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছিল তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বর ব্যস্ত পাওয়া যায়। তিনি একবার মোবাইল রিসিভ করলেও গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আছেন বলে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে লাইন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত দেশে মোট আট লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫২ জনের (বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ১৫২ জন)। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯০৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ হাজার ৬২৫ জনে।