ডেস্ক রিপোর্ট: যে সব তথ্য প্রমাণাদীর ভিত্তিতে কুয়েতে মানব পাচারের জন্য বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেগুলি থেকে বোঝা যায় যে এই কেলেঙ্কারী কেবলমাত্র এক দুর্বৃত্তমনা আইন প্রণেতার ঘটনা নয়। এখন মনে হচ্ছে উপসাগরীয় এ রাস্ট্রে ঢাকার নিজস্ব রাষ্ট্রদূত সাধারণভাবে অপরাধমূলক আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে জড়িত অপরাধমূলক ক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন।মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ সংবাদ জানিয়েছে।
মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনকে কুয়েতে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করতে বাধ্য করা হয়েছিল, যা জুনে মোহাম্মদ শহীদ ইসলামকে গ্রেপ্তারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
মোমেন এই সপ্তাহের শুরুতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে কুয়েত তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনলে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রদূতকে রেহাই দেবে না। “অর্থ পাচার ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছে।” মোমেন বলছে যে তারা কোন দলেরই হোক না কেন শাস্তি অবশ্যই আবশ্যক।
সন্দেহভাজন বাংলাদেশী এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি কুয়েতে সরকারী কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসাবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়, যাতে তিনি সেখানে যে সংস্থাটি পরিচালনা করেন তার চুক্তি পেতে পারেন।
কুয়েতির মিডিয়াও তাকে ভিসা বাণিজ্য ও লন্ডারিংয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে যে সন্দেহভাজন তিন সদস্যের এই চক্রের সদস্য যার অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী এমপি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার স্ত্রীও সংসদ সদস্য।