সোজা কথা ডটকম রিপোর্ট: ওসি প্রদীপের প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার সব মামলায় জামিন হয়েছে এবং ইতোমধ্যে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১.৩০ টায় কক্সবাজার জেলা যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালত নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফাকে জামিন প্রদান করেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা টেকনাফের বহিষ্কার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মাদক নির্মূলের আড়ালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন সময় সংবাদ পরিবেশন করেছিলেন।
যার কারণে ওসি প্রদীপ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে ঢাকা থেকে ধরে এনে মাদক ও চাঁদাবাজির ৬ টি মিথ্যা মামলায় জড়িত করে ও শারীরিক নির্যাতন করে । ওই মামলায় ফরিদুল মোস্তফা গত ১১ মাস ধরে কারাভোগ করে আসছে।
ইতিমধ্যে ৫টি মামলা থেকে সে জামিন লাভ করে। বৃহস্পতিবার চাঁদাবাজির শেষ মামলায়ও জামিন লাভ করলেন তিনি। ফলে আজ সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা বিকালেই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলে তার আইনজীবীরা আগেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায় গত ৬ জুলাই ২০১৯ সালে বহিস্কৃত ওসি প্রদীপের নির্দেশে টেকনাফের হ্নীলার দরগাপাড়ার মৃত তাজর মল্লুককে বাদী করে টেকনাফ থানায় জিআর ৫৭৭/১৯ চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন।
আসামী পক্ষে মামলার জামিন শুনানী করেন এড.মোঃআব্দুল মান্নান, এড.আবুল কালাম ছিদ্দিকী, এড.রেজাউল করিম রেজা ও এড.সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমূখ।
এরপর তিনি সহকর্মী, স্বজন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ফরিদের বর্ণনার সুত্র ধরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। চোখে ঠিক মতো দেখেন না। স্মৃতি শক্তি কমে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা। তার অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষা দরকার। রোগ নির্ণয়ের পর মূল চিকিৎসা শুরু হবে।
গত ১২ আগস্ট ফরিদুল মোস্তফার বিষয়ে লেখক নাসিম আনোয়ারের একটি লেখা সোজা কথা ডটকম-এ প্রকাশিত হয়। এরপর সাংবাদিক মহলের একটি অংশ তাঁর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন।
ছবি – প্রদীপের নির্যাতনের আগের ও পরের