সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক বিজ্ঞপ্তিতে গুমের শিকার সব ব্যক্তিকে অবিলম্বে খুঁজে বের করা, প্রতিটি গুমের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন, দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করে গুম প্রতিরোধে সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্যও দাবি জানানো হয়।
আসকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০২০ (২৫ আগস্ট) পর্যন্ত ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ। এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, ৮৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছেন। পরিবার, স্বজন বা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, সাংবাদিক বা মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, বিশেষ বাহিনী-র্যাব, ডিবি পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচয়ে সাদা পোশাকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই সংশ্নিষ্ট বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরিচিত কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি ছাড়া খুব কম ক্ষেত্রেই গুম হওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে গুম হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করেই তাদের কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বা ক্রসফায়ারে তাদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। যারা ফিরে আসতে পেরেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও কী ঘটেছে পরবর্তী সময়ে তা জানা যায় না।