সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর ড: আলী রীয়াজ বলেছেন,
বাংলাদেশে যত বেশি কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা দেখা গেছে তার মধ্যে সিভিল সোসাইটির ক্ষয়টা আমি দেখতে পেয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো সিভিল সোসাইটির স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সত্তাকে সংকুচিত করার চেষ্টা করেছে। এটা দুইটা বড় দলই করেছে তা না, তার বাইরে ছোট দলগুলোও করেছে। এটা বড় রকমের ক্ষতিসাধন করেছে।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বার্তা২৪ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের রবিবাসরীয় কথাবার্তা’য় আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাজীব নন্দী লাইভ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
তিনি বলেন, গত এক দশকে সিভিল সোসাইটিকে নিন্দা মন্দ বাক্য, ভিলিফাই করার চেষ্টা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু ব্যক্তি হিসেবেই নয়, প্রতিষ্ঠানিকভাবেই সিভিল সোসাইটির ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
ড. আলী রীয়াজ আরো যোগ করেন, সবচে লক্ষ্যণীয় হচ্ছে গণমাধ্যম যে সিভিল সোসাইটির অংশ গণমাধ্যমের অনেকেও সেটা বুঝতে পারে নি। দলীয়করণ রাজনীতিকরণ চিকিৎসক শিক্ষক সাংবাদিক আইনজীবী সহ পেশাজীবীদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করেছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন- এ গুলো দু ভাগ হবে কেন? সিভিল সোসাইটি ছাড়া ডেমোক্রেসি হবে না। হবে না একটু বেশি বলা মনে হলেও গণতন্ত্রের জন্য একটা নাগরিক সমাজ লাগবে। গণতন্ত্র থেকে সরে গেলে সিভিল সোসাইটির বিপদ ঘটিয়েই যেতে হবে এবং বাংলাদেশ সেটাই হচ্ছে।
ড: আলী রীয়াজ বলেন – এখনো যা আছে যতটুকু আছে সবাই মিলে এক সাথে চিন্তাভাবনা করে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে তার ভাবনা চিন্তা করা দরকার।
নিজের গড়ে উঠার প্রক্রিয়ার কথা বলেতে গিয়ে তিনি বলেন, একজন মানুষ একাকী গড়ে না। তার আশপাশের সবাই এবং সবকিছুর সহায়তায় সে গড়ে উঠে। তিনি নিজের মানবিক গুণাবলী বিকাশের ক্ষেত্রে, তাঁর স্কুল সিদ্ধেশ্বরী বয়েজ স্কুল সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ড: আলী রীয়াজ সোজা কথা ডটকম- এর এক লাইভ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আগ্রহীদের জন্য সে অনুষ্ঠানের ফেইসবুক ও ইউটিউব লিংক দেয়া হলো।