সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ শহরের বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত এই দুই শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ আরও ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইনুদ্দিন (১২) আরেক শিশুর মৃত্যু হয়।
এর আগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গতকাল রাতে জুবায়ের নামে সাত বছরের এক শিশু মারা যায়।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
বিস্ফোরণে মসজিদের ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। জানালার কাচ উড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে ৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। তাঁদের সবাই কমবেশি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা হলেন, মোস্তফা কামাল, রিফাত, রাশেদ, হুমায়ুন কবির, ইব্রাহীম, জুয়েল, সাব্বির, দেলোয়ার হোসেন, জামাল , জুনায়েদ , কুদ্দুস ব্যাপারী, মাইনুদ্দিন, জয়নাল ও সাত বছরের শিশু জুবায়ের।
হাসপাতালে মরদেহ হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।