সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : একই নামের হওয়ার সুযোগ নিয়ে এক নিরাপরাধ স্কুল ছাত্রকে স্থানীয় কমিশনারের ইন্ধনে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে হত্যা করার ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। ‘আমি তো মরিনি। বেঁচে আছি। কখন বন্দুকযুদ্ধে মরলাম।’ এমন কথার পরও মো. জয়নাল (২০) নামের এই তরুণকে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দেখিয়ে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে পুলিশ।
শুরু থেকেই এ মামলাটি তদন্ত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর চন্দ্র রায়। তদন্ত শেষে ছয়জনকে আসামি করে গত বছরের ডিসেম্বরে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তিনি। এতে এজাহারে নাম থাকা আসামি জয়নালকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তিনি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘জয়নাল পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
কিন্তু এর কিছুদিন পরই বখাটে জয়নাল হঠাৎ আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে এ মামলায় হাজিরা দাখিল করে। ফলে মামলাটি অন্যদিকে মোড় নেয়। সামনে আসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজনের জায়গায় অন্যজন মারা যাওয়ার বিষয়টি। আদালত থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে এ তথ্য জানার পর এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের বায়েজিদে সরেজমিন অনুসন্ধান করা হয়। এতে বের হয়ে আসে আসল ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যে জয়নাল প্রাণ হারিয়েছে, সে আসলে ওই মামলার আসামি নয়। সে দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল, পড়ত বায়েজিদে অবস্থিত ভোকেশনাল অ্যান্ড টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে। ফলে অভিযোগ উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একই নামের সুযোগ নিয়ে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। যদিও শিক্ষার্থী ও আসামির নাম এক হলেও তাদের বাবার নাম ছিল ভিন্ন।
নিহত শিক্ষার্থী জয়নালের মা-বাবা, সহপাঠী, শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা জানান, বখাটে আসামি জয়নালের জায়গায় পুলিশ শিক্ষার্থী জয়নালকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মেরে ফেলেছে। চার্জশিটেও উঠে এসেছে সে তথ্য। অনুসন্ধানেও মিলেছে তার সত্যতা। সবাই শিক্ষার্থী জয়নালকে শান্ত ও ভালো ছেলে হিসেবে চিনতেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সবাই বলেছেন, জয়নালের মধ্যে কোনোদিন খারাপ কিছু নজরে আসেনি। এ রকম একজন শিক্ষার্থী নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের মাঠেই গভীর রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রাত ১টায় শিক্ষার্থী জয়নাল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ার পর পুলিশ মিডিয়াকে বলেছিল- সে মারধরসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিল। তার বাবার নাম আবদুল জলিল। সে অনুযায়ী তদন্ত শেষ করে এসআই দিপংকর চন্দ্র রায় মামলার আসামি থেকে বখাটে জয়নালের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এরপর তিন দফা শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেয় আসল আসামি জয়নাল।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী মো. জয়নাল নোয়াখালীর মাইজদীর বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। মামলার আসল আসামি বখাটে মো. জয়নাল চট্টগ্রাম নগরীর রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে।
এ ব্যাপারে আসল আসামি জয়নাল সাংবাদিকদেরকে জানান, আরেক জয়নালকে মেরে ফেলার বিষয়টি জানতে পেরে ভয়ে তাড়াতাড়ি ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছে।
এ মামলার নথিতে আসল আসামি মো. জয়নালের নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার আবেদনগুলো সংযুক্ত রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম মহানগরের অতিরিক্ত পিপি আবিদ হোসেন মিডিয়াকে বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি আবদুল জলিলের ছেলে মো. জয়নালের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ার তথ্য চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও সিডিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এখন দেখছি, ‘মৃত’ আসামি জয়নাল আদালতে হাজিরা দিচ্ছে। তাহলে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এ মামলার আসামি জয়নাল মারা যায়নি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অন্যজন মারা গেছে।
অ্যাডভোকেট আবিদ আরও বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনাটি আসলে কী ছিল, তা বের করতে জুডিশিয়াল তদন্তের জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিপংকর চন্দ্র রায় বলেন, যখন এ মামলার তদন্তভার নিই, তখন বায়েজিদ থানায় নতুন যোগদান করেছিলাম। ভুল করে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়া জয়নালকে এ মামলার আসামি জয়নাল ভেবে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছি। তাহলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেল কোন জয়নাল? জবাবে এসআই দাবি করেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়া জয়নাল খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির তরুণ ছিল। তার বিরুদ্ধে দু-তিনটি মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। সে শিক্ষার্থী কিনা জানা নেই।
অতিসম্প্রতি প্রায় একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে। গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় জিডি ও মামলা হলে পুলিশ তিন আসামি—আবদুল্লাহ, রকিব ও খলিলকে গ্রেপ্তার করে। ওই আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তাঁরা লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। নিখোঁজের ৫১ দিন পর গত ২৩ আগস্ট ‘মৃত’ ওই মেয়েটি এলাকায় ফিরে আসে। ৩১ আগস্ট সোমবার ওই তিন আসামি আদালতকে জানিয়েছেন, পুলিশ ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ওই স্বীকারোক্তি আদায় করে।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে ১ সেপ্টেম্বর তাঁরা জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানান। সম্প্রতি এই ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে এ ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তিন আসামির পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
কাউন্সিলরের সংশ্নিষ্টতার অভিযোগ
বায়েজিদ থানার আমিন জুট মিল এলাকাটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলোশহর ওয়ার্ডের ভেতর। এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন মোবারক আলী। তার সঙ্গে স্থানীয় আরেক আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম বাবুর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়া শিক্ষার্থী জয়নাল আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী ছিল। বাবুর ডাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অন্যদের সঙ্গে হাজির থাকত সে। এটিই কাল হয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার ও সহপাঠীরা। যেদিন শিক্ষার্থী জয়নালকে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সামনের মাঠে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা হয়, তার আগের দিন আমিন জুট মিল এলাকায় মারামারি হয়। সেখানে জয়নালও হাজির ছিল জানিয়ে তার বাসায় যায় কাউন্সিলর মোবারক আলীর পিএস পরিচয় দেওয়া সামসু ও তার দল। জয়নালের সঙ্গে কথা বলে তারা ফিরে যায়। তাকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছিল তখন। তারপর রাত ১টার দিকে পুলিশের সাদা ও পোশাকধারী একটি দল গিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় জয়নালকে।
তার বাবা নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরদিন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছেলেকে মেরে ফেলেছে। ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর কাউন্সিলর মোবারক আলীর কাছে গিয়ে তার হাতে-পায়ে ধরেছি। তবুও মন গলেনি। কাউন্সিলর দাবি করেন, ছেলের নামে নাকি বহু অভিযোগ। তার জন্য কিছু করতে পারবেন না। নুরুল ইসলামের অভিযোগ, পিএস সামসু বাসা থেকে যাওয়ার পরই পুলিশ তার ছেলেকে নিয়ে যায়। মোবারকের কথা ছাড়া কিছুই হয়নি। তারা গরিব মানুষ, তাই আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে চুপ আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর মোবারক আলীর ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া দেননি। আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কথা বললে ফের বিপদে পড়ব।
তিন বোনের এক ভাই ছিল শিক্ষার্থী জয়নাল। সুতা শ্রমিকের কাজ করেন নুরুল ইসলাম। তার সঙ্গে স্ত্রী জোহরা বেগমও কাজ করেন। তাদের তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলে ছিল জয়নাল। পরিবারের আশা ছিল, জয়নাল পড়া শেষ করে গার্মেন্টে বড় চাকরি করবে। তবে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। জয়নাল পরিবারের সঙ্গে থাকত নগরীর আমিন জুট মিল কলোনি এলাকায়। তার মা জোহরা বেগম অভিযোগ করেন, একমাত্র ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িতদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, এখন আমার ছেলেকে খারাপ বানানোর জন্য অনেকেই অনেক কিছু বলছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্য বের হয়ে আসবে। সরকারের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।
একই ক্লাসে পড়া বোন প্রিয়া বলে, আমি আর আমার ভাই জয়নাল দশম শ্রেণিতে পড়তাম। একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। একসঙ্গেই বাসায় ফিরে আসতাম। ভাই কোনো ঝামেলায় ছিল না। মাঝেমধ্যে মিছিল-সমাবেশে যেত। এটাই তার জন্য কাল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সে যদি অপরাধী হতো, তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো যেত; তারপর বিচার হতো।
মামলার বাদী ও আসল আসামি জয়নালের ভাষ্য :নগরীর রৌফাবাদ পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মামলার বাদী শাহ আলম বলেন, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও চুরির যে মামলা করেছি, সেই মামলার আসামি জয়নাল বেঁচে আছে। সে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়নি। তবে এ মামলার আসামি ভেবে পুলিশ অন্য জয়নালকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মেরে ফেলেছে বলে শুনেছি। পুলিশ চার্জশিটেও এ মামলার আসামি জয়নাল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে বলে উল্লেখ করেছে। শাহ আলম আরও বলেন, আসামি জয়নাল যেহেতু জীবিত, তাই তাকে চার্জশিটভুক্ত করতে গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে আবেদন করেছি। আদালত ৬ অক্টোবর এ আবেদন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আসল আসামি মো. জয়নাল জানায়, আমাকে মারতে গিয়ে হয়তো জয়নাল নামে আমিন জুট মিল এলাকার একটি ছেলেকে পুলিশ মেরে ফেলেছে। হায়াত আছে বলে এখনও বেঁচে আছি। আমি মরে গেছি ভেবে পুলিশ চার্জশিট থেকেও নাম বাদ দিয়ে দেয়। যেহেতু বেঁচে আছি, তাই পুলিশ মামলা থেকে নাম বাদ দিলেও আদালতে আসামি হিসেবে হাজিরা দিয়ে জীবনকে রক্ষা করতে চাইছি।
শিক্ষার্থী জয়নালের শিক্ষক ও সহপাঠীদের বক্তব্য :বায়েজিদ টেক্সটাইল অ্যান্ড ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রহমান বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে জয়নালের আচার-আচরণ ভালো ছিল। তারপরও কেন সে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ শিকার হলো, জানি না। ইনস্টিটিউটের অফিস সহকারী মো. জুবায়ের বলেন, জয়নাল ভালো ছেলে ছিল। তার প্রশ্ন- স্কুলের একজন ছাত্র কী এমন অপরাধ করল যে তাকে মেরে ফেলতে হলো!
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলার বাদী শাহ আলম ও জয়নালের বাসা একই পাড়ায়। বাদীর নাতনি ফারহানা আক্তারের বিয়ে হয় একই পাড়ার মো. নাসিমের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ফারহানাকে নির্যাতন করা হলে এর জোর প্রতিবাদ করেন শাহ আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর নাসিম দলবল নিয়ে দা, কিরিচ নিয়ে হামলা চালান শাহ আলম ও তাঁর পরিবারের ওপর। এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে নাসিম, জয়নালসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সব আসামি পরে জামিনে মুক্ত হন। জয়নাল জানান- শাহ আলমের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। জামিনে এসে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় এত দিন হাজিরা দেননি।