সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ী ও মহেশখালীতে প্রস্তাবিত আটটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে বায়ুদূষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনজীবন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে, ঘটবে প্রাণহানি। ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, কর্মসংস্থান এবং পর্যটন স্থাপনাগুলোও হুমকিতে পড়তে পারে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) গবেষণা প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক যৌথ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘বায়ুর মান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিবেশের ওপর কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, তা নিয়ে এ গবেষণা করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বাপার সহসভাপতি রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলন বৈজ্ঞানিক গবেষণাভিত্তিক বক্তব্য দেন ফিনল্যান্ডের গবেষক ও সিআরইএর গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান বিশ্নেষক লরি মিলিভিরতা।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লক হেভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া।