সোজা কথা ডটকম লাইভের ৪৬ তম পর্বে রোহিঙ্গা শরণার্থী: সমাধান কতদূর?- শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন। ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা লন্ডন সময় বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত লাইভে অতিথি হিসেবে ঢাকা থেকে যোগ দেন সাবেক পররাস্ট্র সচিব, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এইচআরএসএস-এর উপদেষ্টা নুর খান লিটন এবং কানাডার ম্যানিটোবা থেকে যোগ দেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, রোহিঙ্গা বিষয়ক গ্রন্থ The Rohingya Crisis: Analyses, Responses, and Peacebuilding Avenues গ্রন্থের সহ-লেখক ড. হেলাল মহিউদ্দিন। ফিরোজ উদ্দিন, সৈয়দা ফাতিমা, সাখাওয়াত ভূঁইয়া প্রমুখ দর্শকের মন্তব্য ও প্রশ্ন নিয়ে লাইভে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মানবধিকার কর্মী ও আইনজীবী, সোজা কথা ডটকম-এর সম্পাদক এডভোকেট শাহ আলম ফারুক।
সাবেক রাষ্ট্রদূত, প্রখ্যাত কুটনীতিক এম হুমায়ুন কবির দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়ে বলেন- এখানে অনেক ধরণের জটিলতা আছে। মিয়ানমার সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাদের সাথেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। ভারতের পর মিয়ানমার আমাদের দ্বিতীয় প্রতিবেশি। সিদ্ধান্ত যখন নেয়া হয় অনেক কিছুই বিবেচনা করতে হয়। মিয়ানমারকে বাদ দিয়ে আমরা যদি চীন ভারত ইইউ এর সাথে কথা বলতাম তখন কথা উঠতো মিয়ানমার কি বলছে।
ড. হেলাল মহিউদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু ষাটের দশকে যখন মিলিটারী মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসে। তিনি বাংলাদেশে সর্বশেষ রোহিঙ্গাদের ব্যাপকহারে প্রবেশের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলেন যা বলা হচ্ছে আরসা সেখানে একযোগে ৩০টি জায়গায় সরকারী স্থাপনায় হামলা করেছে। প্রতীয়মান হয় এটা সত্য নয়। অনেক কিছুই সেখানে স্টেজড হয়েছে। মিলিটারী বুড্ডিস্ট মঙদের কাজে লাগিয়ে একটা উগ্রবাদী পরিবেশ তৈরি করেছে। যার ফলাফল এই রোহিঙ্গা বিতাড়ন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন বলেন- ক্যাম্পের ভেতরের কিছু বিষয় যেমন ইন্টারনেট মোবাইল ব্যবহার অবাধ করতে হবে। তাদেরকে অন্যত্র নেয়ার বিষয়ে চিন্তা পরিহার করতে হবে। কারণ তারা দেশের কাছাকাছি থাকলে আশ্বস্ত থাকে। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রচারণা প্রগাপান্ডা চালিয়ে স্থানীয় মানুষজনের সাথে তাদের সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। দেখা যাবে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ৩০/৫০ জনের ঐ একটা গ্রুপই এমনটি করছে। তিনি ক্যাম্পের সংখ্যক বিপুল শিশু কিশোরের শিক্ষার ব্যবস্থার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।