সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার সময় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার দুই নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন- ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জহরলাল রায় এবং একই শাখার স্কুল ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাদত মাহমুদ।
জহরলাল রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আকার সময় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ এসে বাধা দেন। এ সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে আমাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। থানার ফুটেজ আছে, সেখানে দেখা যাবে। পরে আরেকটা রুমে নিয়ে আরেকবার মারধর। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।’
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, মুচলেকা নিয়ে আটকের এক ঘণ্টা পর ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত মশাল মিছিল করেছে।
বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে মহানগর ছাত্র ইউনিয়ন। এছাড়া সারাদেশে ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিট ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বলে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা জানিয়েছেন।