সন্দ্বীপ টাউনে সভা সমাবেশ ও ক্রস বাঁধ (৯)
[এ লিখাটি বা পর্বটি ওরাল হিস্ট্রি বা স্মৃতিকথন, ইতিহাস নয়। তবে ইতিহাসবিদরা এই লিখা বা পর্বগুলো থেকে তথ্য-উপাত্তগুলো গবেষণার জন্য সূত্র বা রেফারেন্স উল্লেখপূর্বক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে শেয়ার করতে হলে পূর্ব অনুমতি নিয়ে উদ্ধৃতি বা লেখকের টাইম লাইন থেকে শেয়ার করতে পারবেন। গবেষক ছাড়া অন্যরা পর্যালোচনা এবং প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে উদ্ধৃত করতে হলে লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে, আংশিক বা সম্পূর্ণ কোন ধরণের অনুলিপি করা যাবে না। বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক কপিরাইট আইন দ্বারা লেখক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লিখিত অনুমতির জন্য ইমেইল: sandwip21st@gmail.com]
সন্দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন হলো উড়ির চর। উড়ির চরের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন হয়ে গেলো (গত শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ইং)। সম্প্রতি উড়ির চর ভাঙ্গনের ব্যাপারে সন্দ্বীপের সুশীল সমাজ, গুণীজন ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে নদী ভাঙ্গন রোধে কথা বলা শুরু করেছে। ঠিক একই ভাবে সন্দ্বীপের ভাঙ্গন রোধে ১৯৫০ এর দশক থেকে ভাঙ্গন রোধের প্রয়োজনীয়তা ও দাবী ছিল সন্দ্বীপবাসীর। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিভোর ছিল সন্দ্বীপবাসী।
বেড়ি বাঁধের কনসেপ্ট আসলো সেই ১৯৫০ এর দশকে ও একই সাথে স্লুইস গেইটেরও। কোস্টাল বেল্টকে সমুদ্র ও নদীর জোয়ার থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় ও ফসলের হানি যেন না হয়; সেই জন্য বেড়ি বাঁধ ও স্লুইস গেইট তৈরী করা শুরু হলো। তাছাড়া আরেকটি কথা শুনা যেত সন্দ্বীপের জন্য ক্রসড্যাম। ক্রসড্যাম হলো সমুদ্র বা নদী পৃষ্ঠে ক্রসবাঁধ বা আড়াআড়ি বাঁধ দেয়া। সন্দ্বীপের সাথে উড়ির চর ও কোম্পানীগঞ্জ সংযোগ সড়ক অন্য অর্থে ক্রসড্যাম।
দেশের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান যিনি যখনই সন্দ্বীপে সফর করেছেন। প্রত্যেকেই সন্দ্বীপের ক্রসবাঁধের ওয়াদা করে গেছেন। আইয়ুব খান বলে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন। খন্দকার মোশতাক বলে গেছেন- বঙ্গবন্ধুকে বলবেন সন্দ্বীপবাসীর প্রাণের দাবির কথা। এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান (বিএনপির ২য় মহাসচিব) ও জিয়াউর রহমানও ক্রসড্যাম বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। এরশাদ, খালেদা বেগম ও শেখ হাসিনা ওয়াজেদও ক্রসবাঁধ বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। ১৯৫০ এর দশক থেকে ৮০ এর দশক ও এরপর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্রসড্যাম ছিল সন্দ্বীপবাসীর জনজীবনে একটা বার্নিং ইস্যু। সন্দ্বীপবাসী তাকেই নেতা মেনেছেন ও ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন; যাকেই মনে হয়েছে ক্রসড্যাম বাস্তবায়নে ঢাকায় অগ্রনী ভূমিকা নিতে পারবেন।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে বন্যা হয়েছিল। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অতঃপর দেশ ব্যাপী দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। ওই সময় সরকারের মন্ত্রী মিনিস্টারগণ দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করেন। জনগণকে বোঝাতে যে, দুর্ভিক্ষ কৃত্রিম। অমর্ত্য সেনও পরে গবেষণা করে তার জীবন যাত্রার মান বইতে বলেছেন, দুর্ভিক্ষ ছিল কৃত্রিম।
খন্দকার মোশতাক আহমেদ হেলিকপ্টারে যোগে সন্দ্বীপ আসেন। সন্দ্বীপের প্রতিশ্রুত ছাত্রনেতা এক জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেন। নাম তার রফিকুল ইসলাম। উনি প্রায় সাড়ে ৪ দশক সন্দ্বীপের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতীক ছিলেন। সন্দ্বীপবাসীর প্রাণের দাবি ও বাঁচার দাবি ক্রসড্যাম বাস্তবায়নের জোড় দাবি জানান ওই সভাতে। উনার অনেকগুলি বক্তৃতা আমি শুনেছি, কিন্তু ওই দিনের বক্তৃতা ছিল রাজনৈতিক কুশীলব সম্পন্ন ও স্বচ্ছ কলরব জনগণের জন্য। রফিক ভাইয়ের জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে খন্দকার মোশতাক বলেছিলেন, উনি বঙ্গবন্ধুকে সন্দ্বীপের প্রাণের দাবি ক্রসড্যামের কথা বলবেন।
১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনের প্রচারকালে সন্দ্বীপ সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই সময়ই দ্বীপটি রক্ষায় ক্রস ড্যাম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন বঙ্গবন্ধু। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র বলছে যে, এই এঞ্চলের সমুদ্রতীরের ভূমি উদ্ধার, সন্দ্বীপের ভাঙন রোধ এবং দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপটিকে যুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে সরকার কোম্পানীগঞ্জ থেকে সন্দ্বীপ পর্যন্ত ক্রসড্যাম প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। পরবর্তী সময়ে ক্রসড্যামটি সন্দ্বীপ-উড়িরচর -কোম্পানীগঞ্জ সংযোগ সড়ক হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। সেই থেকে ক্রসড্যামের আশায় বুক বেঁধেছেন আমাদের মানুষ।
১৯৮৫ সালের সন্দ্বীপসহ উড়িরচরে প্রলয়ঙ্করী বন্যা হবার পর আমরা ঢাকার শহীদ মিনারে সভা ও সমাবেশ করেছিলাম। ঢাকা বিশবিদ্যালয় সন্দ্বীপ ছাত্র পরিষদ কর্তৃক। আমি তখন ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। শাহাদাত হুসাইন (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব), কারিমুল লিটন (বর্তমানে ব্যাংকার), তানভীর আহমেদ (বর্তমানে কলেজের প্রফেসর), আতাউর বাবুল (আইটি বিশেষজ্ঞ) ও অন্যন্যরা একত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা কালীন ক্রসড্যাম ও উড়িরচরকে সন্দ্বীপের ইউনিয়ন ঘোষণার দাবিতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট এরশাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করি। এরশাদও কথা দিয়েছিলেন ক্রসড্যাম তৈরী করে দিবেন।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে সন্দ্বীপ-নোয়াখালী ক্রসড্যাম নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী প্রশাসনিক নিয়ম পালন করে ১৯৮৬ সালে সন্দ্বীপ-উড়ির চর-নোয়াখালী ক্রসড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সময়ের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ক্রসড্যামটি প্রকল্প হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী ১৯৮৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে ১৯৯২ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর বাস্তিবায়ন হয়নি। অদৃশ্য প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবে তা থেমে যায়। এরপর ১৮ বছর চলে হয়। গত হলো দীর্ঘ সময়।
২০১০ সালের অক্টোবর ঢাকায় ‘সন্দ্বীপ-নোয়াখালী ক্রসবাঁধ বাস্তবায়ন পরিষদ’ সন্দ্বীপকে রক্ষায় একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণের দাবি জানায়। সন্দ্বীপকে রক্ষার জন্য ১৯৭৪ সালে সরকার নেদারল্যান্ডস সরকারের সেই সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়ের করে সন্দ্বীপ-নোয়াখালী ক্রস বাঁধ বাস্তবায়ানে বরাদ্দ দিতে দাবি জানিয়েছিলেন উক্ত বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মো. জামালউদ্দিন চৌধুরী। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রাজীব হুমায়ুন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবিএম ওয়াহিদুর রহমান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মনিরুল হুদা বাবন।
অতঃপর ২০১১ সালের শেষের দিকে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রস্তাবিত ক্রসড্যাম এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিশ্রুত প্রকল্প হিসেবে সরকার সন্দ্বীপ-উড়িরচর-নোয়াখালী বাস্তবায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর ২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দ্বীপ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারি কলেজ মাঠে সন্দ্বীপের ক্ষতি না হলে ক্রসড্যাম বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
‘সন্দ্বীপ ক্রসড্যাম আন্দোলন’ নামে ২০১৩ সালের দিকে ফেইজ বুক পেজ দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। সন্দ্বীপ ক্রসড্যাম আন্দোলন ধীরে ধীরে থিতিয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয় সরকারি কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং এ ওই ফেইজবুকে) একটি স্ট্যাটাস দেন-
‘আমি মনে করি ক্রসড্যামের দাবী থেকে আমাদের সরে আসা উচিত। কারণ যে পরিপ্রেক্ষিতে ক্রসড্যামের দাবী উঠেছিলো তা এখন নেই। যে এলাকায় ক্রসড্যামের দাবী উঠেছিলো তাতে এখন বড় চর উঠেছে। আধুনিক বিশ্বে এখন ক্রসড্যামের ব্যবহার নেই বললেই চলে। বরং যে জায়গায় বা এলাকায় ঢেউ আঘাত করছে সে এলাকায় কী করা যায় তার অভিজ্ঞতা জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গ্রহণ করতে পারি। কোথাও কোথাও ব্লক-রিং ব্যবহৃত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা যা বলছি বা যা চাচ্ছি তা রাজনৈতিকভাবে বলছি, কোনপ্রকার তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে নেই। যারা এ ব্যাপারে কাজ করছেন বা করতে পারবেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন। রাজনীতিকদের উচিত এরকম বিশেষজ্ঞদের খুজেঁ বের করা এবং তাদের সহযোগিতা গ্রহণ করা।’
ক্রসড্যামের যৌক্তিকতা ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। অথচ ক্রসড্যামের প্রয়োজনীয়তা সত্যিকার অর্থে আবেদন ফুরিয়ে যায়নি। কেননা ক্রসড্যাম বাস্তবায়নের ফলে নুতুন চরগুলো ভূমি উদ্ধারে বিরাট ভূমিকা রাখতে সমর্থ হতো। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, ১৯৫৬-৫৭ এবং ১৯৬৪ সালে মেঘনার মোহনায় ক্রসড্যাম-১ ও ক্রসড্যাম-২ নামে দুটি সফল ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছিল। ভূমি পুনরুদ্ধারের গুরুত্ব অনুধাবনে সন্দ্বীপের ক্রসড্যামে সুফল বয়ে আনতো।
জলবায়ুর উষ্ণতা কারণে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে দক্ষণাঞ্চলের মূল ভূমি, চরাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চল রক্ষার্থে। এমনই হতে পারে ক্রসড্যাম তৈরী করতে হবে সুন্দর বন থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত। তাছাড়া সন্দ্বীপ-উড়ির চর-কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সহযোগ সড়ক বা ক্রসড্যাম বাস্তবায়িত হলে ঢাকা যেতে মাত্র ৩/৪ ঘন্টা লাগবে।
বাংলাদেশ নিম্নভূমি হবার কারণে হিমালয় ও ভারত থেকে ৫৪টি নদী প্রবাহমান রয়েছে; যার ৫৩টি নদীর শাসন ও বাঁধ ভারতের নিয়ন্ত্রণে। যার কারণে আমাদের দেশে বর্ষায় অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফারাক্কা ও তিস্তার বাঁধ ও অসম পানি বন্টন দেশের কোস্টাল বেল্টের ৫ কোটি নাগরিক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা আমাদের জিডিপির অর্জনকে নিম্নমুখী করছে। তাছাড়াও জন দুর্ভোগ অপরিসীম। সন্দ্বীপ-উড়ির চর-কোম্পানীগঞ্জের সংযোগ সড়কসহ দেশের ১৯ টি এলাকায় ক্রসড্যাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, যা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বা জটিলতা আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নোয়াখালী ও উড়ির চরের মধ্যে ক্রস বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সমুদ্র থেকে প্রায় ১০ লাখ হাজার হেক্টর জমি পুনরুদ্ধার হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, মেঘনা নদীর মোহনায় নদী ভাঙন ও ভূমি পুনরুদ্ধারে একটি প্রাকৃতিক চলমান প্রক্রিয়া। উজান থেকে ভাটির দিকে মেঘনা নদীর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১১০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে মেঘনা মোহনায় নতুন চর জেগে উঠছে।
২০১৪ সালে নেদাল্যান্ডস ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হ্যাসকোনিং ডিএইচভির পরামর্শ অনুযায়ী সন্দ্বীপ-উড়িরচর-কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) এর ক্রসড্যাম নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। সন্দ্বীপ-উরির চর-নোয়াখালী ক্রস বাঁধ নিয়ে এলআরপি’র সমীক্ষা (১৯৮৭) থেকে জানা গেছে যে, ক্রসড্যামটির মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রায় ৩৬,০০০ হেক্টর নতুন জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এখানকার মানুষের জীবন বাঁচাতে আর সমৃদ্ধির সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে ক্রসড্যামের দাবি আবার সরব হচ্ছে। অতীতের মতো সভা সমাবেশ হচ্ছে। এই দূরাবস্থা থেকে উড়ির চর ও সন্দ্বীপকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতেই সন্দ্বীপ-উড়ির চর ক্রসড্যাম নির্মাণের দাবি যৌক্তিক হয়ে উঠছে।
আমরা এখনও সেই প্রতিশ্রুতির দিকেই তাকিয়ে আছি। রক্ষা পাবে জেগে উঠা সন্দ্বীপের চরগুলো, উড়ির চর ও সন্দ্বীপের মূল ভুখন্ড। দিন গুণছি কবে হবে সেই স্বপ্নের ক্রসড্যাম!
স্মৃতিকথনে: শিব্বীর আহমেদ তালুকদার
আইনজীবী, সমাজ সংগঠক ও কথ্য ইতিহাস গবেষক।
sandwip21st@gmail.com