সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রায়হান আহমদের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি ঘটনাটির সুষ্ঠূ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
এমএসএফ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যম সুত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, সিলেট শহরের আখালিয়াএলাকার নেহারিপাড়ার গুলতেরা মঞ্জিলের মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র রায়হান আহমদ (৩৪) নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটস্থ ডা. আবদুল গফফারের চেম্বারে চাকরি করতেন। কর্মস্থল থেকে ফিরতে দেরি দেখে শনিবার রাত ১০ টায় তাঁর মাও স্ত্রী তাঁর মোবাইলে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পান। রবিবার ভোর চারটা ২৩ মিনিটের দিকে মায়ের মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে কল দিয়ে রায়হান জানায়,পুলিশ তাঁকে ধরে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে। এখন তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ চাচ্ছে। টাকা দিলে পুলিশতাঁকে ছেড়ে দেবে। রবিবার ভোরেই রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ টাকা নিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ফাঁড়ির পুলিশের এক সদস্য সকাল নয়টার দিকে আসতে বলেন। সকাল নয়টার দিকে চাচা হাবিবুল্লাহ আবার ফাঁড়িতে গেলে পুলিশ সদস্যরা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকাল সাতটার দিকে রায়হানকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন রায়হানের লাশ মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর রবিবার বিকেল তিনটার দিকে পরিবারেরকাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবিকরা হলেও গনপিটুনির চিত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও গণমাধ্যম সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে পুলিশ হেফাজতে আটক যে কোন ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব, ফলে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পুলিশের জবাবদিহি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা। এমএসএফ এক্ষেত্রে তাঁর মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠূ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।