চরফ্যাশন ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ে ১ বছর ২মাস ২৪ দিন অনুপস্থিত থেকে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের যোগসাজশে ৩লাখ ৫৫হাজার ২শ‘ টাকার বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা শিক্ষা অফিসার লিখিল চন্দ্র হালদার তাকে বিভাগীয় মামলার জন্যে সুপারিশ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ফাইলবন্দীর অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন ৬১নং উত্তর আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় জুলাই/২০১৭ থেকে ১৫ অক্টোবর/২০১৮ পর্যন্ত ১ বছর ২মাস ২৪দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তৎকালিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র চন্দ্র শীল প্রতিমাসে কর্তৃপক্ষকে অবগতির জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর মোট ১২টি আবেদন করেছেন। এই আবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী কোন কর্ণপাত করেননি। ফলে জেলা শিক্ষা অফিসার লিখিল চন্দ্র হালদার অফিসের ১৩৩৯/৫(৬)স্মারকে ২৪ জুন/২০১৮ তারিখে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানের সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক বিশেষ বিধান অধ্যাদেশ ১৯৮৯এর ৩(বি)ধারা মোতাবেক বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে অভিযুক্ত করা হল।
একই অধ্যাদেশের ৪(এ)ধারা মোতাবেক কেন আপনাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হবে না? বা উক্ত অধ্যাদেশের বিধানমতে অন্যকোন যথোপোযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবেনা তার কারণ উল্লেখসহ নোটিশ প্রাপ্তির (৫)কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্যে বলা হয়েছে। কারণ দর্শানোর জবাব না দেয়া হলে জেলা শিক্ষা অফিসার লিখিল চন্দ্র হালদার একই স্মারকে এই অপরাধের কারণে আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে পত্র দিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এইসব পত্র চালাচালি ছিল আইওয়াশ। বিদ্যালয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সময় অনুপস্থিত থেকে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মাসিক ২৪হাজার টাকা বেতন ভাতা হিসাবে মোট ৩লাখ ৫৫হাজার ২শ টাকা উত্তোলন করেছেন।
অভিযুক্ত বিদ্যালয়েরসহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন উত্তর আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলী হয়ে ৬৪নং দক্ষিণ মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ এ সহকারী শিক্ষক ছিলেন, শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশির্বাদপুষ্ট। এই ব্যপারে সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম। মেডিকেল দিয়েছি। আমার বেতন ভাতা থেকে ৮০হাজার টাকা কর্তন করে আমাকে বেতন ভাতা দেয়া হয়েছে। কত তারিখ থেকে মেডিকেল নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে কাগজপত্র দেখে বলব বলে মুঠোফোন কেটে দেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তৃষিত কুমার চৌধুরী বলেন, এটি ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসারের বিষয় তিনি তদন্ত করেছেন। আমাকে শুধু অনুলিপি দিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ব্যাপার বললে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন ।