সোজা কথা ডটকম
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার
No Result
View All Result
সোজা কথা ডটকম
No Result
View All Result

যে দুটি কলামের জন্য দন্ডিত হয়েছিলেন মিজানুর রহমান খান!

ডেস্ক রিপোর্ট by ডেস্ক রিপোর্ট
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ | ৯:০৩ অপরাহ্ণ
in বাংলাদেশ, মানবাধিকার, লিড নিউজ, সংবাদ শিরোনাম
0
যে দুটি কলামের জন্য দন্ডিত হয়েছিলেন মিজানুর রহমান খান!

সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট:

এই আদালতই একদিন তাকে শাস্তি দিয়েছিল!

হে শোকার্ত নাগরিক আপনি কি একটুও লজ্জিত নন? জামিন কেলেংকারী ও উচ্চ আদালতের অনিয়মের তথ্য সম্বলিত কলাম লিখে দন্ডিত হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান! আদালত চলার পুরো সময় দাঁড়িয়ে থাকার দন্ডও তাকে ভোগ করতে হয়েছে! প্রথমে জেনে নিন সত্য বলার অপরাধে ২০১৪ সালে তড়িঘড়ি করে কেমন শাস্তি দেয়া হয়েছিল তাকে।

২০১৪ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?’ এবং ১ মার্চ ‘ছয় থেকে আট সপ্তাহের স্বাধীনতা’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে মিজানুর রহমান খানের কলাম প্রকাশিত হয়।

২০১৪ এর ১৩ মার্চ ঐ কলাম লেখা ও প্রকাশের মাধ্যমে আদালত অবমাননার দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই মামলার শুনানির সময় আদালতে এসে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকার সময়কে দণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে বলে রায় দেন আদালত।

আজ সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের জানাজা হলো সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনে। যে আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছিল!?

প্রিয় পাঠক আপনাদের অবগতির জন্য সেই দুটি কলাম এখানে হুবহু ছাপা হলো। দেখুন তথ্য সমৃদ্ধ উচ্চ মাত্রার বিশ্লেষণ সম্বলিত কলাম কেমন করে একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক বিশ্লেষকের জন্য কাল হয়ে উঠেছিল।

সরল গরল

মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?

মিজানুর রহমান খান
আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৪: ১৭

প্রথম আলো 

জামিনের যত ফেরকা আছে, তার মধ্যে আগাম জামিন সবচেয়ে কঠিন। কারণ, এটা আইনে নেই। তদুপরি এ অঞ্চলের প্রতিটি সুপ্রিম কোর্ট একমত যে অসাধারণ পরিস্থিতিতে বিরল ক্ষেত্রে এটা মঞ্জুরযোগ্য। ২০০৯ সালে ৩৮ সেকেন্ডে একটি জামিনের ঘটনার তদন্ত করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য প্রতিকার হয়নি। গত মাসে দুই দিনে ৫৫৮টি আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে। এ সবই বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উদাহরণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২০ নম্বর বিচারকক্ষের সামনে নোটিশ দেখি, ‘নতুন কোনো মোশন জমা নেওয়া হবে না।’ এ কথার মানে, এখানে আর আগাম জামিনের জন্য নতুন দরখাস্ত নেওয়া হবে না। গত মাসে এখানে আগাম জামিনের ঝড় বয়ে গেছে। ওই নোটিশ হলো ঝড়ের চিহ্ন।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চই হলো এনেক্স ভবনের ২০ নম্বর বিচারকক্ষ। ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ৭১৮টি আগাম জামিন আবেদন মুদ্রিত ছিল। এর মধ্যে আসামির সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে। এবং তাঁদের সবার আদালতকক্ষে হাজির থাকার কথা। তার মানে, ওটা একটা গণ-আত্মসমর্পণেরও দৃশ্য। এদিন ওই বেঞ্চ ৩০৭টি মামলায় আগাম জামিন দিয়েছেন। কমপক্ষে ৪০০ আসামি জামিন পেয়েছেন।
হাইকোর্টে জামিন-ঝড় এখন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তবে প্রশ্ন, যে প্রতিকার সমক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বেঞ্চ দিতে পারেন, তা আইনজীবীরা কেন একটি বিশেষ আদালতের কাছ থেকে নিতে ছোটেন? এর উত্তর আমরা কার কাছ থেকে পাব? এর কি জবাবদিহি থাকবে না? বার ও বেঞ্চ তো নীরবই থাকবেন।
২৯ জানুয়ারি ওই একই আদালতের কার্যতালিকায় ৪১১টি আগাম জামিন অবেদন ছাপা হয়। আবেদন মঞ্জুর হয় ২৫১টি। এখানেও অন্তত ৩০০ আসামি আগাম জামিন পান। এঁরা বিচিত্র অপরাধের আসামি। কেউ কেউ দুর্ধর্ষও হতে পারেন। তবে তাঁরা কে কোন ধরনের আসামি, তা আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না। নিয়ম হলো, অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে আবেদনকারীরা একটি কপি আগেই জমা দেন। তবে সেখানেও সুষ্ঠু তদারকি ও শৃঙ্খলা নেই। মামলা ব্যবস্থাপনায় একটি নৈরাজ্য চলছে। ওই দুই দিনে আইন কর্মকর্তাদের অসহায় অবস্থায় দেখা গেছে। অবশ্য জামিনপ্রার্থীদের শয়ে শয়ে আইনজীবী ও জামিন প্রদানে উন্মুখ আদালতের সেই পরিবেশে রাষ্ট্রের আইনজীবী আন্তরিক হলেও নিজকে তাঁদের খড়ের কুটো ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না।
প্রতি মিনিটে যদি একটি আদেশ পাস হয়, তাহলে সেখানে কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা এক কথায় আসলে কিছুই ঠাহর করা সম্ভব হয় না।
আমি সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে যাই। বলি, আদালত এক দিনে ৭১৮টি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন, এই আশ্চর্য কথা কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট ছাপাতে পারে? তিনি জানালেন, কোন দিন কতটি মামলা কার্যতালিকায় আসবে, সে বিষয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেই। এটা সম্পূর্ণরূপে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের অধিকার।
২০১০ সালের ৬ জুন রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু মামলায় আপিল বিভাগ একটি উল্লেখযোগ্য রায় দেন। বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তাতে লিখেছিলেন, ‘এফআইআরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি রাজনৈতিক নেতা কি নেতা নন, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়।’
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে সন্দেহভাজন। তাঁর আগাম জামিন লাভে ওই নীতির ব্যত্যয় দেখলাম। দুদকের এফআইআরে উল্লেখ আছে, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস হোসেন ইংল্যান্ডের নিকটবর্তী দ্বীপ রাষ্ট্র গের্নসিতে একটি যৌথ ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী জামানত হিসেবে আট লাখ চার হাজার ১৪২ পাউন্ড জমা রেখেছেন। ২০০৮ সালে ওই টাকার হদিস বের করেছিলেন লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধূরী। আওয়ামী লীগ ও দুদক পাঁচ বছর ঘুমানোর পর সম্প্রতি একটি মামলা করেছে। ওই টাকা জব্দ অবস্থায় রয়েছে। এমনকি তা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত বলেও আদালতের সামনে তথ্য ছিল। মওদুদ আহমদ এবং বিএনপির ডাকসাইটে আইনজীবীরা মোশাররফের জন্য আগাম জামিন পেতে ওই ২০ নম্বর কক্ষে দাঁড়ালেন। গের্নসি সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। জাতিসংঘের এতগুলো রাষ্ট্র থাকতে মোশাররফ দম্পতি কেন আটলান্টিকের বুকে ইংলিশ চ্যানেল দ্বীপে টাকা রাখতে গেলেন, তার ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। মোশাররফ তা দেননি, বিএনপিও নয়।
বেইলি উইক অব গের্নসির মুখ্যমন্ত্রী পিটার হারুদ ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেছেন। কারণ, তিনি তাঁর ‘সুনামের প্রতি ঝুঁকি’ অনুভব করেছেন। তিনি চ্যানেল আইল্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ছিলেন। পরিচালকের অতীত ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই ‘অযথা মিডিয়ার মনোযোগ’ এড়াতে পদত্যাগ করেছেন। মোশাররফের দেখা পেলে পিটারকে হয়তো পদত্যাগ করতে হতো না। কারণ, তিনি আগাম জামিনের পরামর্শ পেতেন!
আইনের শর্ত হচ্ছে, আগাম জামিন দিতে হলে কারণ লিখতে হবে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, খন্দকার মোশাররফের জামিনাদেশে কোনো কারণ লেখা নেই। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ অবশ্য ওই আদেশ বাতিল করেছেন। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত ওই একই বেঞ্চ আদেশে লিখেছেন, উভয় পক্ষকে শোনা হয়েছে। এফআইআর দেখা হয়েছে। অতঃপর প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে যে বিষয়টি অভিযুক্তের পক্ষে গেছে। তাই এই আদালতে তাঁর আত্মসমর্পণ গ্রহণ করলাম। ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর।
বিচারব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তার আরও উদাহরণ দিই। একই আদালতে আরেকটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয় হল-মার্ক কেলেঙ্কারি খ্যাত তানভীর মাহমুদের স্ত্রী জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে। জেসমিন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হন। জেসমিনও আগাম জামিন পান এবং আপিল বিভাগ তা বাতিল করেন। অথচ এসব জামিন একান্তই নিম্ন আদালতের এখতিয়ার। প্রকৃতপক্ষে জামিন পুলিশি সিদ্ধান্তের বিষয়। আর বাংলাদেশে জামিন নিয়েই হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভারাক্রান্ত থাকে।
অনিয়ম কাকে বলে দেখুন। ১৯ জানুয়ারি মোশাররফ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি জেসমিনকে দেওয়া আগাম জামিন মঞ্জুরের আদেশ একই ভাষায় একই ছকে লেখা। দুই আদেশের প্রতিটির প্যারাগ্রাফ একই বাক্য দিয়ে শুরু হয়েছে। দুই আদেশে আক্ষরিক অর্থেই কেবল নাম-ধাম ও তথ্যগত কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এভাবে একটা বিচারব্যবস্থা চলতে পারে কি না। সর্বোচ্চ আদালত এর প্রতিকার দিতে অসমর্থ কিংবা শোচনীয়ভাবে অসফল।
প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘২৭০ মিনিটে ২৪০টি মামলায় জামিন দেওয়া কি সঠিক হয়েছে?’ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ আমরা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি তদন্ত প্রতিবেদন (প্রতি ৩৮ সেকেন্ডে একটি জামিন) প্রকাশ করেছিলাম।
তদন্তে দুই বিচারকের স্বাক্ষরবিহীন ২৭২টি জামিনাদেশ বেরোল। এমনকি ৩৫টি নথির হদিস মিলল না। ২০০৯ সালের ২৩ ও ২৪ নভেম্বর বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান ও বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই গণজামিন দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুজন বিচারকের সমন্বয়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসের প্রথম অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। ওই তদন্তের নথি আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম। তদন্তের সময় প্রধান বিচারপতি ছিলেন তাফাজ্জল ইসলাম। তিনি অল্প সময় ছিলেন। ওই নথিটি তিনি প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের কাছে রেখে গিয়েছিলেন। এরপর নথিটি প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের হাতে পড়ার কথা। আমাকে
বলা হয়েছে, চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি নথিটি উদ্ধার করতে পারেননি। তার চেয়েও বড় কথা, পত্রিকায় (প্রথম আলোয়) কেন গণজামিন দেওয়া-সংক্রান্ত খবরের সঙ্গে বিচারকদের ছবি ছাপা হয়েছিল, সেটাই নাকি বড় হয়ে ওঠে। কথিতমতে, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সে কারণে এ বিষয়ে অগ্রসর হতে বাধাগ্রস্ত হন।
জামিন ব্যক্তি স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। কিন্তু গণজামিন একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর উভয়ে উদ্যোগী ও সদা সক্রিয় থাকলে এর রাশ কিছুটা টানা সম্ভব। তবে এর উত্তরও পেতে হবে যে গণজামিন না দিলে কী হতো? সারা দেশের ভুক্তভোগীরা কেন ভেঙে পড়ছে ঢাকায়?
একেবারে ভেঙেচুরে পড়া থেকে এ ধরনের ব্যবস্থাই হয়তো বাঁচিয়ে রাখছে। কিন্তু কত দিন? পুলিশি ভয়ের শাসনের প্রবর্তকেরাই এ নৈরাজ্যের জন্য দায়ী। কেবল বিচারব্যবস্থা নয়, সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যে পচন ধরেছে, সেটা স্বীকার না করলে এ থেকে বেরোনো যাবে না।

আগামী কিস্তি: ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের স্বাধীনতা

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

 ………………..

সরল গরল

ছয় থেকে আট সপ্তাহের স্বাধীনতা

মিজানুর রহমান খান
প্রকাশ: ১ মার্চ ২০১৪, ০০: ০৬
প্রথম আলো

২৫ ফেব্রুয়ারির দুপুর। সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের ১৬ নম্বর বিচারকক্ষের লাগোয়া বারান্দায় উপচে পড়া ভিড়। তাঁরা এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে। এক জায়গায় দেখলাম, পুরো একটি পরিবার বসে আছেন। জমি নিয়ে মারামারি। ঠাকুরগাঁও থেকে আগাম জামিন নিতে এসেছেন। প্রশ্ন হলো, তাঁরা গ্রাম থেকে কেন রাজধানীতে ছুটে এসেছেন? অধিকাংশ জামিনাদেশে লেখা আছে, ছয় থেকে আট সপ্তাহ পরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে হবে এবং তখন জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালত স্বাধীন থাকবেন।
তার মানে সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের বাঘা বাঘা আইনজীবী, যাঁরা মুহূর্তে মক্কেলদের আগাম জামিনাদেশ পাইয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছেন, তাঁরাও স্বীকার করবেন, এখানে শুভংকরের ফাঁকি আছে। এক-এগারোর পর লাখ টাকা এমনকি কোটি টাকা ফিয়ের জামিনের গল্পও বাতাসে ভেসেছে। অত টাকা তো সাধারণ মানুষের নেই। গ্রামের মানুষেরা কি ঠকছেন? কতটা? আইনজীবীরা তাঁদের ত্রাতা?
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফের সঙ্গে কথা হলো। তাঁকে মিনিটে জামিনের সমর্থক আঁচ করি। বলি, সরকারে নেই তাই! বললেন, না আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকতেও কখনো জামিনের বিরোধিতা করিনি। তবে কেন মানুষ হাইকোর্টে আসছেন, সেটা অনুসন্ধানযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। মওদুদ আহমদ মিনিটে জামিনের বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আদালতের স্বাধীনতা দেখেন। বললেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে আদালতের ওপর চাপ ছিল না। রক্ষীবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে বেআইনি ঘোষণা করে বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্যের দেওয়া মাইলফলক রায় স্মরণ করলেন। জামিনপ্রার্থীদের ভিড় প্রশ্নে, বিশেষ করে নিম্ন আদালতের ওপর সরকারের প্রচণ্ড চাপের ওপরই জোর দিলেন তিনি।
সরকার নিয়ন্ত্রণ করে তাই নিম্ন আদালতে মানুষ যদি জামিন নিতে না-ই যান, তাহলে সেই একই আদালত কী কারণে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময়ের পর স্বাধীনভাবে জামিন দিতে পারবেন? আট সপ্তাহের ব্যবধানে অভিযুক্তকে আবার নতুন করে ছোট আদালতের আইনজীবী ধরতে হবে। জামিনের দরখাস্ত করতে হবে। তাহলে লাভটা কী? এটাই ফাঁকি।
আমরা জানলাম, বড় আদালতের ছোঁয়াই কাফি। হাইকোর্ট যেহেতু জামিন দিয়েছেন, তাই নিম্ন আদালত ভরসা করতে পারেন। তাহলে কিন্তু আমজনতা বুঝবেন, ওটা আইনের শাসন নয়, মৃতসঞ্জীবনী সালসা। নিম্ন আদালতের বিচারকের বুকের ছাতি ফোলানোর বটিকা।
সুতরাং আইনবিদ ও আইনজীবীরা একে আগাম জামিন বলবেন। কিন্তু আমি বলব না। আসলে হাইকোর্টের অব্যাহত গণজামিন প্রমাণ করছে যে, বিচার বিভাগ পৃথক্করণ মুখ থুবড়ে পড়েছে। নিম্ন আদালত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের মুঠোবন্দী থাকতেও জামিনের এমন হিড়িক দেখা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে দুই দিনে এক হাজার ২০০ জামিন নিয়ে মন্তব্য করে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁর সেই উক্তি অসতর্ক ছিল মানি। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে সেই রায়টি পড়ে মনে হলো, বড় মুখ নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সেদিন যেভাবে শেখ হাসিনার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন, সেই বড় মুখ আজ অবশিষ্ট নেই। ওই রায়টি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম।
১৯৯৮ সালের ২৫ ও ২৬ আগস্ট দুই দিনে ১৫৫টি জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। শেখ হাসিনা তা ভুল করে এক হাজার ২০০ বলেছিলেন। সেদিন সংখ্যাগত ভ্রান্তিকেই বড় করে দেখা হয়েছিল, আদালত নিজেদের ওজস্বিতায় সংবেদনশীল ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার বক্তব্যের চেতনা আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছিলেন, ‘ওই ঘটনা প্রধান বিচারপতিকে জানালে কেবল বেঞ্চ পরিবর্তন করেন, অন্য ব্যবস্থা নেননি, ব্যবস্থা নিলে জুডিশিয়ারি অনেক দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেত এবং জুডিশিয়ারি সম্পর্কে মানুষের মনে কোনো সন্দেহ দেখা দিত না।’ আজও প্রাসঙ্গিক বলছি এ কারণে যে, ‘ওই ধরনের ঘটনা’ অব্যাহত আছে বরং আরও গুরুতরভাবে চলছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেছিলেন, যদি তদন্ত করা হতো, ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তবে জুডিশিয়ারি অনেক দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেত। ২০০৯ সালে তদন্ত হলো। ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। জনমনের সন্দেহ ঘুচল না।
মিনিটে একটি আগাম জামিন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বললেন, ‘আমি গভীরভাবে হতাশ। কয়েকটি বেঞ্চে আইন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহী। কারণ, তাঁরা রাষ্ট্রপক্ষে কথা বলার সুযোগ পান না।’
২০০৯ সালে যখন দুজন বিচারক ৩৮ সেকেন্ডে একটি আগাম জামিন দিলেন, তখনো কেবল সংশ্লিষ্ট বিচারকদের এখতিয়ার রহিত করা হয়েছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল নিশ্চিত জানালেন, জামিনাদেশের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন হারিয়ে গেছে।
তাই বলছিলাম, শেখ হাসিনার ‘অতিরঞ্জিত’ উক্তি অপ্রাসঙ্গিক হয়নি। অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে আগের সরকারকে দায়ী করার বিষয়টি। ২০০৯ সালে ওই তদন্ত কমিটি দেখেছিল, এক দিনে কার্যতালিকায় এক হাজার ১৪২টি মামলা আদেশের জন্য ছাপা হয়েছিল। ১৩টি কার্যদিবসে এক হাজার ৩৭২টি আগাম জামিন এবং ৬৮৯টি অন্যান্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই বেঞ্চ এক দিনে সর্বোচ্চ ২৪৮টি আগাম জামিন দেন। আর এখন এক দিনে ৩০৭টি আগাম জামিনের আদেশ মিলেছে। তাহলে এটিও তদন্তের দাবি রাখে।
১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগ বেশ গর্বের সঙ্গে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ‘হাইকোর্ট ব্যবস্থা সম্পর্কে যাঁদের জ্ঞান আছে, তাঁরাই জানেন দুই দিনে একটি বেঞ্চের এক হাজার ২০০ জামিন দেওয়া অবাস্তব। বিচারকেরা যদি ওই হারে মামলা নিষ্পত্তি করতেন, তাহলে তো মামলা জটই থাকত না।’ কিন্তু ১৯৯৯ সালে যা তাদের কথায় ‘ফিজিক্যালি ইম্পসিবল’ ছিল। তা ‘ফিজিক্যালি পসিবল’ হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বিবৃতি দাবি করি। কারণ, আপিল বিভাগ বলেছিলেন, সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আগাম জামিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ ব্যক্ত করার অধিকার আছে। আমরা মনে করি, এই অধিকার প্রয়োগের এখন উত্তম সময়। কারণ, একাধিক বেঞ্চে ‘বাছবিচারহীন আগাম জামিন’ চলছে।
আগাম জামিন নিয়ে আমাদের উচ্চ আদালতের দুটি টেস্টামেন্ট আছে। ওল্ড টেস্টামেন্ট লেখা হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ২৫ মে। আগাম জামিন নিয়ে শেখ হাসিনাকে ভর্ৎসনা করার ৮১ দিন পর। তখন প্রধান বিচারপতি এ টি এম আফজাল লিখেছিলেন, ‘আগাম জামিন দেবেন হাইকোর্ট। জেলা জজ ও দায়রা আদালত নন।’ রাষ্ট্র ঠিক উল্টো বলেছিল। সে কারণেও কি আগাম জামিন পেতে আজ জনস্রোত আছড়ে পড়ছে উচ্চ আদালতে? আপিল বিভাগ যদি রাষ্ট্রের সঙ্গে একমত হতেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে তিরস্কার করে দেওয়া মার্চের রায় টেকে না। কারণ, শেখ হাসিনার উল্লিখিত হাইকোর্ট যে ৩৬৭ জন অভিযুক্তকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন, তাঁরাও নিম্ন আদালত এড়িয়েছিলেন।
ওল্ড টেস্টামেন্টের সবই ভালো। এটুকু ছাড়া। আইন কিন্তু বলছে, আগাম জামিন ছোট-বড় উভয় কোর্ট দিতে পারেন।
মাহমুদুল ইসলাম ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘আগাম জামিন নিতে সরাসরি হাইকোর্টে আসা যাবে না। আগে জেলা ও দায়রা জজের কাছে যেতে হবে।’ অবশ্য এটাও শতভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ওল্ড টেস্টামেন্টের একটা সংশোধনী লাগবে। কারণ, এতে নিম্ন আদালতকে খাটো করা আছে। বলা হয়েছে, আগাম জামিন দিতে তারা সাহস পাবেন না।
তবে ওল্ড টেস্টামেন্ট কিন্তু বাছবিচারহীন জামিনদানকে জুডিশিয়াল এক্সট্রাভ্যাগাঞ্জ বলেছিলেন। বাংলা একাডেমির অভিধানমতে এটা অসংযত বিচারিক আচরণ। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে নিজের শরীরের অংশ ভাবেনই না। আবার হাইকোর্টের স্বাধীনতাও যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। নিম্ন আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ বিবেচনায় মিনিটে মিনিটে জামিনদান এবং ৫৬১(ক) ধারার আওতায় নিম্ন আদালতের বিচার-প্রক্রিয়া বাছবিচারহীনভাবে স্থগিত করে দেওয়ার অনুশীলনকে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জ্ঞান করতে পারব না। নিম্ন আদালত, তুমি কার শরীরের অংশ—সরকারের, না সুপ্রিম কোর্টের? জামিন ও স্থগিতাদেশ (স্টে) প্রদানের চেতনা যে তেলে (সংবিধানগত) দাউ দাউ করে জ্বলে, সেই তেলে নিম্ন আদালতকে নির্বাহী বিভাগের রাহুমুক্ত করার সাংবিধানিক, আইনগত, সংবিধিবদ্ধ ও এমনকি আপিল বিভাগের রায়গত কর্তব্যবোধ টিম টিম করেও জ্বলে না।
একশ্রেণীর বেঞ্চ অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত। অ্যাটর্নি জেনারেল আমাকে আদালত প্রশাসনে ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি’র কথা বলেছিলেন। তদুপরি অবাক হলাম। ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি বিচারকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এক তরুণ আইনজীবী এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে কথায় কথায় ২০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল বের করলেন। ঈষৎ মলিন নোটগুলো ৫০০ টাকার। এই অর্থ খরচ করে আগাম জামিনের দুটি আবেদন তিনি কার্যতালিকায় ছাপাতে চান।
জামিনপ্রতি আইনজীবীরা মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা ফি নিলে সাড়ে ৫০০ আবেদনে এক হাজার লোক জামিন পেলে তাঁদের কেবল ফি খরচা দাঁড়ায় এক কোটি টাকা। এক হাজার মানুষের অনধিক আট সপ্তাহের স্বাধীনতার দাম এক কোটি টাকা। একে কি বলব না ঘোর অমাবস্যার ‘জামিনার্থনীতি’।
৬ জুন ২০১০ নিউ টেস্টামেন্ট লেখেন বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। আগে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে জামিনবান্ধব নির্দেশনা দিতেন। এরপর সেটা বন্ধ হয়েছে। তবে উভয় টেস্টামেন্ট সংশোধনের দরকার আছে। নিউ টেস্টামেন্টে রুল দেওয়া বন্ধের নির্দেশনাটি গ্রহণযোগ্য নয়। বিধিবদ্ধ আইন করতে ওল্ড টেস্টামেন্টের নির্দেশনা আইন কমিশন এখনই বিবেচনায় নিতে পারে। বাছবিচারহীন আগাম জামিনের বিরুদ্ধে উভয় টেস্টামেন্টে অবশ্য কঠোর হুঁশিয়ারি আছে। হাইকোর্টের তা না মানা সংবিধান লঙ্ঘন। ২০০৯ সালের তদন্তের আলোকে ব্যবস্থা চাই। না পারলে অন্তত প্রতিবেদনের প্রকাশনা চাই। যেকোনো বাছবিচারহীন আগাম জামিনের তদন্তপূর্বক আশু প্রতিকার দাবি করি। (শেষ)

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

Tags: মিজানুর রহমান খানলেখার জন্য দন্ডসাংবাদিক
Previous Post

ক্রান্তিকালে এক অপূরণীয় ক্ষতি

Next Post

বেক্সিমকোকে টিকার মূল্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিভাবে সরকার নিয়েছে তা পরিষ্কার নয়

Next Post
পরিকল্পনামাফিক সমঝোতায় দুর্নীতিবাজরা আরও বেশি সংগঠিত বলেছে টিআইবি

বেক্সিমকোকে টিকার মূল্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিভাবে সরকার নিয়েছে তা পরিষ্কার নয়

লিখুন - বলুন - তথ্য দিন।।

দেশে বিদেশে যেখানে থাকুন আপনি হ্যাঁ আপনি যুক্ত হতে পারেন সোজাকথা ডটকম পরিবারের সাথে। রিপোর্টার, লেখক কিংবা তথ্যদাতা হিসেবে থাকুন! যুক্ত হতে লিখুন/ লেখা পাঠান। লেখা পাঠানোর ঠিকানা sojakotha.com@gmail.com

সম্পাদক ও প্রকাশক (অবৈতনিক):

ব্যারিস্টার শাহ আলম ফারুক

Contact Us

221 Whitechapel Road London E1 1DE
Email : sojakotha.com@gmail.com

অনুসরণ করুন

Browse by Category

  • ENGLISH SECTION
  • কলাম
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • নারী
  • নির্বাচিত
  • প্রবাস
  • বাংলাদেশ
  • বিনোদন
  • বিবিধ
  • বিশ্ব
  • ভিডিও
  • মতামত
  • মন্তব্য প্রতিবেদন
  • মানবাধিকার
  • যুক্তরাজ্য
  • লাইফস্টাইল
  • লিড নিউজ
  • সংবাদ শিরোনাম
  • সম্পাদকীয়
  • সাক্ষাৎকার
  • সাহিত্য
  • সোশ্যাল মিডিয়া
  • স্বাস্থ্য

Recent News

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনী অনিয়মের কারণে স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে

সরকারের মধ্যে অস্থিরতা : প্রেস উইংয়ের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • মানবাধিকার
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • প্রবাস
  • মতামত
  • যুক্তরাজ্য
  • স্বাস্থ্য
  • বিবিধ
    • কলাম
    • ভিডিও
    • সোশ্যাল মিডিয়া
    • লাইফস্টাইল
    • সাক্ষাৎকার

স্বত্ব © 2025 সোজা কথা | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed and Maintained by Team MediaTix.