হাকিকুল ইসলাম খোকন, বিশেষ সংবাদদাতা
ফেঁসে যাচ্ছেন নূর মোহাম্মদ? ৬ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে সংগঠিত ঘটনার জেরে ফেঁসে যেতে পারেন সাবেক আইজিপি, ঐ এলাকার এমপি নূর মোহাম্মদ। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতির নিজস্ব উদ্যোগে সেখানে সংগঠিত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে, সচিব এবং সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলার ঘটনায় এমপির প্রচ্ছন্ন মদদ ছিলো বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেখানকার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঐ দিনের ঘটনায় আক্রান্ত অন্তত দুইজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজ বন্ধ করার জন্য যারা এসেছিল, তারা কাজ বন্ধের জন্য এমপির নির্দেশের কথা বলেছেন।’ এ কর্মকর্তারা এটাও বলেছেন ‘দ্বিতীয় দফায় যারা আক্রমণ করেন, তারা আক্রমণের সময় বলেছে, এমপির নির্দেশ ছাড়া এখানে কিছুই হবে না।’ এছাড়াও ঐ ঘটনা যারা মোবাইলে ভিডিও করেছে, তাদের ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এখানে বেশ কয়েকজন রয়েছে, যারা এমপি নূর মোহাম্মদের লোক, বেশ কিছুদিন ধরেই এই এলাকায় এমপি এবং সাবেক আইজির বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ উঠেছিল।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে এমপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঐ অভিযোগে আওয়ামী লীগের ত্যাগী এবং পরিক্ষিত নেতাদের এমপি হয়রানি করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন নেতা বলেছেন ‘এমপি সাহেব এখানে আলাদা আওয়ামী লীগ গঠন করেছেন।’ আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন ‘কিশোরগঞ্জের যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত দু:খজনক। এটা যারা করেছে, তারা বাড়াবাড়ি করেছে। এমপির এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিলো। এমপি সাহেবের যদি কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে কোন আপত্তি থাকতো, তাহলে তিনি সরাসরি সচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতো।’
তবে, নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেছেন ‘এই ঘটনার সঙ্গে মোটেও তিনি জড়িত নয়। এটা একটা সাজানো নাটক।’ তবে এমপি এবং সচিবের বিরোধ এলাকায় একধরনের অস্বস্তি তৈরি করেছে।