ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে থাকা এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠূ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ এ দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর লিটন (৪৫) নামে উক্ত আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।রিমান্ডের প্রথম দিন রাতে থানার লকআপে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি থানার লকআপের ভেতরে থাকা কম্বল ছিঁড়ে ভেনটিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মনে করে, রিমান্ডে থাকা পুলিশ হেফাজতে থানার অভ্যন্তরে আসামির মৃত্যুর বিষয়টি অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। থানা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। বলা হচ্ছে কম্বল কেটে অথবা ছিঁড়ে ভেন্টিলেটরের সংগে বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাজতী আত্মহত্যা করেছেন (সূত্র: প্রথম আলো, ০৪.০৮.২০২১) । ভেন্টিলেটর দেয়ালের গায়ে খচিত থাকে। সেখানে কম্বলের টুকরা লাগিয়ে কারো পক্ষে ঝুলে যাওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়।
এ ঘটনার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনকে সাধুবাদ জানালেও এমএসএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এ ধরনের ঘটনার সুবিচার নিশ্চিত করতে বাহিনীর বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া আবশ্যক। এমএসএফ, থানা হেফাজতে মৃত্যু যে ভাবেই হোক না কেন মৃতের লাশের সুষ্ঠূ ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে তা প্রকাশ করে, দ্রুততার সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।