কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশে তার অনুগত কর্মীদের হামলায় অহত সদর সভাপতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা দাবি করেছেন সংগঠনকে গতিশীল করতে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন শুরু করেছেন উপজেলা সভাপতি-সম্পাদক। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা, প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিলেও সাংগঠনিক এ কার্যক্রমকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেননি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসাইন।
তাকে না বলে কেন এসব ইউনিটে কমিটি গঠন করা হয়েছে- সেই অজুহাতে বুধবার রাত ১১টার দিকে তার অনুগত ক্যাডার পাঠিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী তামজিদ পাশার ওপর বর্বর হামলা করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপহরণ চেষ্টারত হামলাকারীদের হাত থেকে আহত ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা।
এ সময় তামজিদ তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মায়ের দোয়া শুঁটকি বিতানে বেচাকেনারত ছিলেন। হামলাকারীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্স থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ও মোবাইলসহ মূল্যবান পণ্যসামগ্রীও নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন আহত ছাত্রলীগ সভাপতি তানজিম। এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির প্রতি ঘৃণা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
হামলায় তামজিদের মুখে, হাতে, শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। তাকে না জানিয়ে কমিটি গঠন করায় ফোন করে বকাঝকা করার সত্যতা স্বীকার করলেও হামলার বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেন, হামলায় যারা অংশ নিয়েছে তারা আমার সাথে থাকে সেটা ঠিক, তবে আমি তামজিদকে মারতে তাদের পাঠাইনি। হামলা করালে অপরিচিত কাউকে দিয়ে করাতাম, এটা তৃতীয় কোনো পক্ষের কারসাজি। আমি ঢাকায় রয়েছি, কক্সবাজার ফিরে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।