ইসি গঠনে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অবিলম্বে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “২০১২ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপের পর গঠিত দুটি নির্বাচন কমিশনই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হলেও, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কিন্তু একটি প্রকৃত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন এবং সেই আইন অনুযায়ী ইসি নিয়োগের বিকল্প নেই। যাতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিবর্গের হাতে অর্পিত হয় যারা নির্দলীয়, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সৎসাহসের অধিকারী হবেন। এবং যার ফলে সত্যিকারের নির্দলীয়, সৎ, নিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের ‘নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনের স্বাধীনতা’ প্রয়োগের অধিকার এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের অবাধ ও নিরাপদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার অধিকার অর্জিত হয়।”
নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ডে ইসি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ভূমিকা নিশ্চিতে রাষ্ট্রপতি এবারই নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবেন- প্রত্যাশা টিআইবির। পাশাপাশি, জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনসমূহ পর্যবেক্ষনের জন্য শুধু নির্বাচনের দিনেই নয়, বরং মনোনয়ন জমা দেয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে স্বাধীন ও নির্দলীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মুক্ত ও অবাধ উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবিও জানায় সংস্থাটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি