সরকারের অগণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারবিরোধী কর্মকান্ড, দুর্নীতি গুম দু:শাসনের তথ্য কানাডা, আম্রিকা যুক্তরাজ্যের সরকারের জানা নেই তা নয়, বরং অনেকক্ষেত্রে তাদের কাছে আমাদের বিষয়ে বেশি তথ্য আছে । উন্নত দেশে সরকারের কর্মকান্ড কেমন জবাবদিহিতার মধ্যে থাকে তা আমরা অনেকে দীর্ঘদিন এ সব দেশে থেকেও বুঝতে পারিনি। তাই সব সমালোচনাকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে মোকাবেলা করার চিন্তা একালেও করছি। উদ্ভট মিথ্যা তথ্য সম্বলিত বক্তব্য বরিস জনসন দিক আর কোন মন্ত্রী এমনকি প্রভাবশালী যে কেউ দিক তার ফ্যাক্ট চেকিং করে সাথে সাথে মিডিয়াকে দেয়া হচ্ছে। আর মিডিয়া তা প্রকাশ করে সত্যটা জানিয়ে দিচ্ছে।
আর আমরা উদ্ভট প্রস্তাব করছি পাসপোর্ট বাতিলের।
সবার চোখের সামনে দিয়ে নিয়ে গিয়ে গুম করে গুমের ভিকটিম পরিবারগুলোকে চাপ দেয়া হচ্ছে লিখে দিতে ভিকটিম স্বেচ্ছায় কোথাও চলে গেছে! এ নিয়ে লেখা কি রাষ্ট্রবিরোধী হবে? না সরকারবিরোধী? না মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হবে।
কাউয়ার মত চোখ বন্ধ করে কাজকামের দিন শেষ। পৃথিবী এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এসব বেহুদা চিন্তা দিয়ে পাসপোর্ট বাতিল করার কথা বলা বা সত্যকে লুকিয়ে রাখার দিন শেষ!
দিন শেষে দেখবেন এই নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার জন্যও ইতোমধ্যে কত গল্প কত সাক্ষ্য তথ্য প্রমাণ জমা হয়ে আছে। জমা আছে অজস্র নাগরিকের কাছে। ভুয়া ডিজিটাল গল্প নয়, ডিজিটাল এনালগ নানা ফরম্যাটের তথ্য প্রমাণ। মুরাদকে নিয়ে গাজীপুরের পদচ্যুত মেয়রকে নিয়ে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মিডিয়ার অজস্র প্রতিবেদন কি দেখা যায়নি? মিলিয়ন বিলিয়ন খরচ করে যে প্রযুক্তি দিয়ে আড়ি পাতার কাজটি করেন সেই যন্ত্রও আপনার জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে।
শুধু পাসপোর্ট বাতিলেই নয় এখন কাজ চলছে দেদার চরিত্র হননের। তারা অপপ্রচারের অভিযোগ করে! গত নির্বাচনের আগে ফেইসবুক বিবিসিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমের ১৫ টা ফেইক পেজ ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেয়। এই অপকর্মে কে ছিল সে তথ্যও সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। সরকার পক্ষের লোকেরা এটা করেছে বলে প্রমাণিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। প্রাইম মিনিষ্টারের একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ কাজ হচ্ছিল বলে তথ্য পাওয়া যায়। অপপ্রচার গুজব প্রচার করে ক্ষণস্থায়ী মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেলেও শেষ পর্যন্ত এ সব দু নম্বরী মানুষ বুঝে ফেলে। যে যেখানেই করুক না কেন! তা হতে পারে ফেইসবুক, হতে পারে টুইটার বা য়্যুটিউব বা মেইন স্ট্রিম কোন মিডিয়ার কোন ফরমায়েশী কিছুতে!! সত্য তিক্ত হতে পারে, মন:পুতও না হতে পারে। কিন্তু ডিনাইল হলেই যে সমাধান হবে না। আর মোড়ল গোছের ভাব নিয়ে অহেতুক তুলনায়ও কিছু হবে না। সমাধান খুঁজতে হবে বাস্তব অর্থেই নিজেদের প্রয়োজনেই। যে দেশে আইন থাকবে সে দেশে নির্বিচার বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনভাবেই চলতে পারে না।
– শাহ আলম ফারুক, সম্পাদক, সোজা কথা
লন্ডন। ১৬ জানুয়ারি ২০২১।