‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীন এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ইউএস বন্ডের সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্ত বিদেশে অর্থ পাচার বৃদ্ধির ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। তিনি আরো বলেন, সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এক লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি অর্থ বিদেশে পাচার হওয়ার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এ হিসাব প্রতিবেশী রাষ্ট্রে পাচারকৃত অর্থের অতিরিক্ত।
মাত্রাতিরিক্ত নিপীড়নের হারে ভ্যাট, ট্যাক্স, নানা নামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর, ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে আঠারো কোটি জনগণ থেকে আদায়কৃত অর্থ থেকেই এ টাকা বিদেশে পাচার হয়। বিপুল পরিমান অর্থ পাচার হওয়ার কারণে একদিকে সাধারণ জনগণ পুঁজিশূন্য হয়ে চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে এবং অন্যদিকে দেশীয় বিনিয়োগ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয়। দেশে তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকার বিষয়ে কোন বিতর্কের অবকাশ নেই বটে, তবে আমাদের দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হায়নার দল ইউ এস বন্ডের সর্বোচ্চ সীমা উঠে গেলে এর অপব্যবহার করে বিদেশে অর্থ পাচার বাড়িয়ে দেয়ার সমূহ সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। জনাব আমীন বলেন যে, প্রশাসন ও উন্নয়নের জন্য অর্থের যে প্রয়োজন তা মেটাতে বিদ্যমান উচ্চ হারের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে, কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সম্পর্ক নিবিড় নয় এমন সব ব্রীজ, ফ্লাইওভার, ইমারত নির্মাণের, দুর্নীতি সহায়ক, মেগা প্রকল্প গ্রহণ নিরুৎসাহিত করতে হবে।
মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় আইনের দ্বারা গঠিত, নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল ব্যবস্থাপনা জাতীয় সংস্থা” এর মাধ্যমে লুন্ঠিত ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করে জনগণের অর্থ জনগণকে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণ দিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্হা করতে হবে।
তিনি বলেন যে ইউএস বন্ডের সর্বোচ্চ সীমা বহাল রাখা হবে যৌক্তিক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।