সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতির আহ্বায়ক এডভোকেট শিব্বীর আহমেদ তালুকদার ও সদস্য সচিব মনিরুল হুদা বাবনের এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন যে, সন্দ্বীপ – চট্টগ্রাম নৌ পথে গত ৬ বছরে ২৩ জনের প্রাণ হয়েছে। উক্ত গুপ্তছড়া – কুমিরা নৌ পথে দুর্ঘটনাগুলি হলো ২ রা এপ্রিল ২০১৭ ইং ১৮ জন, ২০ শে এপ্রিল ২২ ইং ৪ জন শিশু ও ১৯ শে অগাস্ট ২২ ইং ১ জন তাদের মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছেন। এর পূর্বেও অনেকবার এই নৌ পথে মর্মান্তিক প্রাণ হারানোর দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিটি দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনো কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ঠিকমত প্রকাশিত হয় নাই। তাই বাস্তবায়ন করা হয়নি কোনো তদন্ত কমিটির সুপারিশমালাও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদীতে যাত্রী পারাপারের নিয়ম মানতে অবহেলা করছে প্রতিনিয়ত। ফলে এই ধরণের গাফিলতিজনিত মৃত্যুর পরও এ পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় নেয়া হয়নি ও কারো কোনো শাস্তি হয়নি।
ইতিমধ্যে যদিও দেশের হাই কোর্টে ১৮ জনের মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুর জন্য বিআইডব্লিউটিসি ও জেলা পরিষদকে দায়ী করে জন প্রতি ১৫ লক্ষ (সর্বমোট ২ কোটি ৭০ লক্ষ) টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দিয়েছে। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি।
সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতি এই অকাল প্রাণ হারানো মরহুমদের পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য উক্ত রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
উক্ত রায়ের আলোকে পরবর্তী ২ টি নৌ দুর্ঘটনায় আরো ৫ জনের জন্য একই নিয়মে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছে।
এখানে বলার অপেক্ষা থাকে না যে, বিআইডব্লিউটিসি ও জেলা প্রশাসকের তদন্ত কমিটিগুলি গঠন করা হয়েছিল সম্ভবতঃ লোক দেখানোর জন্য। তাই উক্ত লোক দেখানো তদন্ত কমিটি এহেন মর্মান্তিক অবহেলা ও নৌ যাত্রী কোড না মানার জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবুও ভবিষ্যতে এই নৌ পথে দুর্ঘটনা এড়াতে সুপারিশমালাগুলো (যদি থাকে, তা) অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানানো যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
সাথে সাথে সন্দ্বীপের সিকস্তির পর জেগে উঠা ভূমি ও পয়স্তি জমির খাজনা গ্রহণ এবং সন্দ্বীপবাসীর ৭ দফা প্রাণের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
– প্রেস বিজ্ঞপ্ত।