সোজাকথা ডেস্ক
বিচারকাজে বিরত রাখা ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে ‘পেশাগত অসদাচরণের’ অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে সবশেষ তথ্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ১২ বিচারপতির মধ্যে একজন পদত্যাগ করেছেন। দুইজন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি এবং দুইজন বিচারপতি অবসর নিয়েছেন। এছাড়া চারজন বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং অপর তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া প্রায় তিন ডজন বিচারপতির অপসারণের দাবি ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে ১০ আগস্ট তৎকালীন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। এছাড়া ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়।
১২ বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসোইন দোলন। এরই মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।