গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ব্রিটেনে আরো ৬৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ২৬ হাজার ৭১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর সরকারের প্রতিদিনের ব্রিফিংএ বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যোগ দেন। চীফ মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস হুইটি এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্যাট্রিক ব্যালান্স তাঁর সাথে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান এ পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ৯০ লাখ ১ হাজার ৯০৫ এরমধ্যে ৮১,৬১১ টেস্ট গতকাল। ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫৩ জন এ পর্যন্ত করোনা টেস্টে পজেটিভ, গতকাল পজেটিভ হন ৬০৩২ ব্যক্তি । গতকাল ১৫০৪৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এর আগের দিন এ সংখ্যা ১৫৩৫৯ ছিল । মোট ২৬৭১১ মৃত্যু হয় এবং ৬৭৪ জন মৃত্যুবরণ করে গতকাল।
বরিস জনসন বলেছেন, অনেকে অনেকভাবে ত্যাগ করেছেন, আপনাদের ত্যাগ এখন পর্যন্ত পরিস্থিতিকে একটা মাত্রায় রাখতে আমরা সফল হয়েছি। বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান ট্রাজেডীতে এখন পর্যন্ত আমাদের এনএইচএস অতিরিক্ত রোগীর ভারে ন্ব্যুজ হয়নি। কোন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে আসেনি, এমন হয়নি ভ্যান্টেলেটর দরকার হয়েছে পায়নি, কোন রোগী ইনটেনসিভ কেয়ার থেকে বন্চিত হয়নি। ৫ টা ( সাতটা পরিকল্পিত) নাইটিংগেল হাসপাতাল কাজ করছে এনএইচএসের উপর চাপ কমাতে এগুলো ছিল সময়োচিত পদক্ষেপ।
বরিস বলেন – স্বাভাবিক পর্যায়ে যাবার আগে আমাদের জন্য পাঁচটা টেস্ট । ১। আমাদের অবশ্যই এনএইচএসকে প্রটেক্ট করতে হবে ২। মৃত্যুহারকে নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে ৩। সংক্রমণের হার নামিয়ে আনতে হবে ৪। লজিস্টিক্যাল পিপিই সহ আনুষঙ্গিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং ৫। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হচ্ছে আমরা যে পদক্ষেপগুলো নেবো সে গুলো দ্বিতীয় বার সংক্রমণের মোকাবেলায় আমাদের এনএইচএস প্রস্তুত কি না?
তিনি বলেন সুতরাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সবার নিরাপত্তা। যথাসম্ভব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। সবার প্রচেষ্টায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।তিনি বলেন অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ তবে বড় ধরনের দ্বিতীয় পর্যায়ের বড় সংক্রমণের বিপদও ধারণায় রাখতে হবে। সেভাবেই প্রতিদিনের তথ্য, অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আমাদের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে হবে।
ফেস মাস্ককে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন- পুরো দেশ জুড়ে পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো আমরা কোথায় আছি। তার উপর ভিত্তি করেই আমরা সামনের দিনগুলোতে কাজ করবো।