ডেস্ক রিপোর্ট: কক্সবাজারের টেকনাফে পর পর দুই ভোরে দুটি পৃথক ঘটনায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে । শনি ও রোববার ভোরে পৃথক দুটি ঘটনায় ঐ তিন রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, শনিবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুর মোহাম্মদ ও মো. রফিক নামের দুই রোহিঙ্গা নিহত হন। তারা দু’জনই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি তারা মাদক কারবারী।পুলিশ আরো দাবি করে বন্দুকযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি দেশীয় এলজি ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে পাচারকারীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
অন্য ঘটনায় রোরবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করে। নিহত ব্যক্তিকে মাদক পাচারকারী বলে ও পুলিশ দাবি করেছে ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতার সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে প্রথমে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-২ এর ১১ নম্বর ব্লকের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর ক্যাম্পের আরও দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়। ক্যাম্পে মোট ৩টি ঘরে অভিযান চালিয়ে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ ৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার বালুখালীস্থ মরাগাছ তলায় অভিযানে যায় পুলিশ। ওই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে একদল ইয়াবা কারবারি। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি উখিয়ার ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে জানা গেছে। গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্যও আহত হয়েছেন ওসি দাবি করেন।