হাকিকুল ইসলাম খোকন নিউইয়র্ক থেকে : ৫৬ ফুট দীর্ঘ এ এক ব্যতিক্রমী বিলবোর্ড। বসানো হয়েছে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে। ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’ নামের ওই বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত মানুষের সংখ্যা। আর এই সংখ্যাটা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় করোনাভাইরাসে কত জন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা।
করোনা মোকাবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায় অনেকে সন্তুস্ট নন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ ধুয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পকে।ওবামার মত অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প যদি দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম হতো। তেমন একজন ইউজিন জারেকি। সেই ক্ষোভ থেকেই এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘মৃত্যুঘড়িটি’ তৈরি করেছেন । টাইমস স্কয়ারের একটি বাড়ির ছাদে এটি বসানো হয়েছে। মংগলবার নিউইয়র্ক টাইম সকাল ৭ টায় ইউজিন জারেকির এক টুইটে দেখা গেছে ওই বিলবোর্ডে মৃতের সংখ্যা তখন ৪৪,৮০৯ লেখা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যা বিশ্বের অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি।
টুইটারে এক পোস্টে ঘড়িটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জারেকি। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড–১৯ রোগে মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ ঠেকানো সম্ভব হতো, যদি ট্রাম্প প্রশাসন বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি এক সপ্তাহ এগিয়ে দিত। অর্থাৎ, ১৬ মার্চের বদলে ৯ মার্চ লকডাউন হলে মৃত্যুর হার অনেক কম হতো। এসব মৃত্যু রোধ করা যেত। এ ধারণা থেকেই ঘড়িটি তৈরি।
জারেকি নিউইয়র্কভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি দুবার সানড্যানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসির মন্তব্য অনুসরণ করে বিশেষজ্ঞরা ওই ৬০ শতাংশ গণনা করেছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফসি সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, আগেই করোনা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিলে অনেক জীবন রক্ষা পেত।
জারেকি বলেন, ‘অনেক জীবন অকারণে ঝরে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আরও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব চাই।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই শত বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।