হাকিকুল ইসলাম খোকন যুক্তরাষ্ট্র থেকে : করোনার শিকার হয়ে বিশ্ববরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. কাজী আবদুর রউফ (৬৫) কানাডার টরেন্টো’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় মংগলবার সকাল ৮ টায় মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা কাজী বাড়ির কৃতি সন্তান। তিনি ৮ ভাই বোনের মাঝে ২য় ছিলেন।
প্রফেসর ড.কাজী আবদুর রউফ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিসটন বিশ্ববিদ্যালয়, নোবেল বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।
তিনি একসময় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ত্রাণ তহবিল সংস্থার পরিচালক ছিলেন। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য নিজের প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন।প্রফেসর ড.কাজী আবদুর রউফ কে পরিচর্চা করার জন্য হাসপাতাল প্রশাসনকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রফেসর ড.কাজী আবদুর রউফ এর স্ত্রী কাজী সাবিনা মোজাম্মিল কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তার মৃত্যুতে অন্যান্যের মধ্যে গ্রামীন ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠাতা ড.মুহাম্মদ ইউনুস, জেএসডি যুক্তরাস্ট্র শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটন, কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই বিশিষ্ট লেখক জুলফিকার নিউটন জানান মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টায় কানাডার টরন্টো‘র সরকারী সমাধিস্থলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হবার কথা।
টরন্টোতে করোনায় প্রফেসর ড.কাজী আবদুর রউফ-এর মৃত্যুতে প্রবাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।কানাডার টরন্টো ও অটোয়াতে এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে ৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে ৭জনই টরন্টোতে এবং একজন অটোয়াতে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে অটোয়ায় গত ৪ এপ্রিল শরিয়তুল্লাহ, ৫ এপ্রিল টরন্টোতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী তুতিউর রহমান, ১০ এপ্রিল ওমর শেখ ও জামাল আলী, ১৭ এপ্রিল বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সালাম শরিফ, ১৮ এপ্রিল মোঃ শওকত আলী, ৭ম বাংলাদেশি মোহাম্মদ আবু নাসের এবং ৮ম বাংলাদেশি হিসেবে প্রফেসর ড.কাজী আবদুর রউফ এই মরণঘাতী ভাইরাসে মারা গেলেন। এছাড়া আক্রান্ত আরো বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন । আরো কয়েকজন হোম কোয়ারাইন্টাইনে রয়েছেন। করোনাভাইরাসের কারনে প্রবাসীরা চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়।