সোজা কথা ডেস্ক: কোনও বাংলাদেশী করোনা নেগেটিভের ভুয়া রিপোর্টের সার্টিফিকেট নিয়ে ইতালি যাননি বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতালিতে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে করোনভাইরাস শনাক্তকরণ বিষয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি যে এক হাজার ৬শ বাংলাদেশি ইতালি গিয়েছেন তারা কোভিড- ১৯ এর নেগেটিভ জাল সার্টিফিকেট নিয়ে যাননি। তাদের মধ্যে কিছু যাত্রী নিজ উদ্যোগে কোভিড-১০ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যান, পরে তাদের প্রয়োজনের কথা ভেবে। তবে ইতালি ভ্রমণের জন্য এ ধরনের সার্টিফিকেট থাকার কোনো নির্দেশনা দেশটি দেয়নি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক সময়ে ইতালি যাওয়া কিছু বাংলাদেশি বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে থাকার নিয়ম অনুসরণ করেননি এবং সম্ভবত তাদের মাধ্যমেই ভাইরাসটি আরও অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে।’
গত এক সপ্তাহে ইতালির লাজিও অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৬৫৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে সমন্বয় করে ইতালি সরকার লাজিও অঞ্চলে বসবাসরত সব বাংলাদেশির (প্রায় ৩০ হাজার) করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলা হয়, ‘শুধু বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর ১২টি দেশের বিমান সেদেশে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির বহুল প্রচারিত ইল মেসেজ্জারো পত্রিকায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ বিক্রি হয়।
সে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ নিয়ে মিথ্যে নেগেটিভ সনদের কারণে ইতালি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বাংলাদেশে ভুয়া কোভিড-১৯ সনদের পেছনে প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইল মেসেজ্জারো পত্রিকায় বলা হয়েছে, ৩৫০০টাকা থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে কোভিড-১৯ এর ভুয়া সনদ পাওয়া যায়।