লিসবন প্রতিনিধি:পতুর্গালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সোসা ডিঙ্গি উল্টে বিপদে পড়া দুই নারীকে উদ্ধারে সাগরে ঝাপিয়ে পড়লেন।
শনিবার পর্তুগালের আলগার্ভ সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত এক ছবিতে ৭১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টকে
সাগরের পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকা ওই দুই নারীর দিকে সাঁতরে যেতে দেখা গেছে।
https://twitter.com/i/status/1295253024559046656
পরে প্রেসিডেন্ট সউসা সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীরা পাশের আরেকটি সমুদ্রসৈকত থেকে স্রোতের টানে সাগরে ভেসে যাচ্ছিল।
প্রেসিডেন্ট সউসা বর্তমানে আলগার্ভে ছুটি অবকাশযাপন করছেন। ওই এলাকার পর্যটন প্রসারের জন্য তিনি সেখানে অবস্থান করছেন।
পর্তুগালের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটন শিল্প নির্ভর, কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ খাত এখন ভীষণ চাপে পড়েছে।
প্রারিয়া দ্যু আলভোর সমুদ্রসৈকতে প্রেসিডেন্ট যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তিনি ওই নারীদের সাগরে হাবুডুবু খেতে দেখেন।
ওই নারীদের সহায়তা করতে তিনি সাঁতরে সাগরে যাচ্ছেন, ওই মুহূর্তগুলো ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে। ইতোমধ্যেই ওই নারীদের সহায়তা
করতে সেখানে আরেক ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন, এছাড়া সাহায্যের জন্য আরেক ব্যক্তি জেট স্কি নিয়ে সেদিকে ছুটে যান।
জেট স্কিতে থাকা ওই ব্যক্তিই রাবারের ডিঙ্গিটিকে তীরে নিয়ে আসতে সক্ষম হন।
ওই নারীদের সহায়তা করার পর প্রেসিডেন্ট সউসা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীরা আরেকটি সমুদ্রসৈকত থেকে এসেছেন।
“সেখানে পশ্চিমমুখী বড় ধরনের একটি স্রোত থাকায় তারা ভেসে যায়, তাদের ডিঙ্গি উল্টে যায়, প্রচুর পানি তাদের পেটে চলে যায় আর এমনকি ডিঙ্গিটিকেও (কায়াক) সোজা করতে পারছিল না তারা, সেটির উপর উঠতেও পারছিল না বা সাঁতারও কাটতে পারছিল না; স্রোত এতই প্রবল ছিল,” স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জানান, জেট স্কিতে করে আসা আরেকজন ‘দেশপ্রেমিক’ তাকে সাহায্য করেছেন। ভবিষ্যতে ওই নারীদের সাবধান হতে হবে বলে সতর্কও করেন তিনি।
সম্প্রচার মাধ্যম টুয়েন্টি মিনোতিস জানিয়েছে, পর্যটনকে চাঙ্গা করতে প্রেসিডেন্ট দেশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শ করার মাধ্যমে তার ছুটি কাটাচ্ছেন।
ব্রিটিশ সরকার যেসব দেশকে পৃথকীকরণ বিধিনিষেধ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সেই তালিকায় পর্তুগাল রয়ে গেছে। ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয় এ দেশে
প্রতি বছর ব্রিটেনের প্রায় তিন মিলিয়ন দর্শনার্থী বেড়াতে যান। আলগ্রেভে অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ব্রিটিশ পর্যটক বেশি গিয়ে থাকেন।