সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: নতুন করে আইনে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড সংযুক্তির বিষয়ে মানবাধিকার আইনজীবী শাহানূর ইসলাম বলেন, সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মত যঘন্য অপরাধ মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার নারী অধিকারকর্মী, নাগরিক সমাজের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী সহ আপাময় দেশবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃর্ত্যুদন্ড করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইন (সংশোধিত ২০০৩) সংশোধন করেছে।
নারী ধর্ষণের মত যঘন্য অপরাধ নির্মূলে সরকারের গুরুত্ত্ব প্রদান অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। তবে শুধুমাত্র ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃর্ত্যুদণ্ড করাটা ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য যতেষ্ঠ নয়!
বরং ধর্ষণের জন্য যেসকল সামাজিক ফ্যাক্টর দায়ী সেগুলো খুজে বের করে সেগুলো আমুলে নিরসন করতে হবে।
প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তবে তবেই ধর্ষনের মত যঘন্য অপরাধ কমবে বলেই মনে করি।
সেজন্য ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃর্ত্যুদন্ড করার আবশ্যকতা আছে বলে মনে হয় না।
সারাবিশ্ব যেখানে দিনে দিনে মৃর্ত্যুদন্ডের মত শাস্তির বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে এই একাবিংশ শতাবদ্ধিতে এসে আমরা নতুন করে মৃর্ত্যুদণ্ডের মত শাস্তির বিধান করে আইন সংশোধন করছি।
মৃর্ত্যুদন্ড কখনও কোনও অবস্থায় কাম্য হতে পারে না, বরং মৃর্ত্যুদন্ডের পরিবর্তে আমৃর্ত্যু কারাদন্ডের বিধান করে তার যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।