হত্যাকাণ্ড ঘটালেও এদেশে যাদের কিছু হয় না, তাদের মধ্যে বসুন্ধরার পোলাপাইন হচ্ছে অন্যতম। যদিও এরা আর পোলাপাইন নাই; এরাই এখন কর্ণধার। আর সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার ভিলেনদের মতো কাজকাম আজকালকার অর্থনৈতিক মাফিয়াদের এইসকল পরবর্তী বংশধরদের। দেশের কিছু কথিত শিল্পগোষ্ঠীর সন্তানদের কাম কাজ দেখলে সবকিছুই পাবলিক বোঝে।
অভিযোগ আছে এদের প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তাদের বাসায়, গাড়িতে এবং অফিসে এরা গোপনে নজরদারি ডিভাইস লাগিয়ে রেখেছে। এটা ঐ সকল মালিকের সাথে অতি ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও জানে না। সবার উচিত চেক করার ডিভাইস দিয়ে সনাক্ত করা। এর বাইরে এদের প্রত্যেকের নিজস্ব টর্চার সেল রয়েছে।
সরকারের উচিত এইগুলো তদন্ত করা; যদিও সরকার তা করবে না। কারন সেই ক্ষমতা এই সরকারের নাই। এই সরকারের অধিকাংশ হচ্ছে অর্থনৈতিক মাফিয়াদের প্রতিনিধি না হয় স্বার্থ উদ্ধারকারি কথিত ব্যবসায়ীদের সমাহার। তাই এমন দুই একটা মেয়ে মানুষ কেন, কিছু সাংবাদিক বা রাজনৈতিক নেতা কর্মী বা কোন আইটি স্পেশালিষ্ট মেরে ফেললেও এরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকতে সক্ষম। এক সময় দরবেশের কোম্পানির বিরুদ্ধে কতো লেখালেখি হতো; ফলে দরবেশ এখন সরকারের অন্যতম পলিসি নিয়ন্ত্রক।
খামাখা এদের বিরুদ্ধে লিখে বা বলে লাভ নেই। এরা সবাই শক্তিশালী সব মিডিয়া শুধু নয় মিডিয়া শিল্পগোষ্ঠীর মালিক। আপনি আমি যা বলবো তার শতগুন এদের পক্ষে বলা হবে। এদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কেউই দাঁড়াবে না; কোনদিন দাঁড়ায়নি। কোন আইন বা বিচার এদের স্পর্শ করতে পারে না। মাঝখান দিয়ে আমরা সাধারন মানুষ জীবনের হুমকি নিয়ে চলবো।
এরা এতোটাই শক্তিশালী যে এদের চাঁদা সব দলের কাছেই যায়; এরা সরকারের পলিসি ইচ্ছেমত বানিয়ে নেয়; এরা সিআইপি ভিআইপি হয়; এদের কাছে অনেক সরকারী অফিসার কাঙ্গালের মতো আচরন করে। বিচারপতি, পুলিশ অফিসার্স এবং সেনা অফিসার্স সমিতির আবাসনে সহায়তা দেয়। যে কারনে এদের ঔধ্যত্ব সীমাহীন।
সময় খারাপ হলে সরকার নিজেই এদের সেফসাইডে রেখে পরে আইনিভাবে মুক্ত করে। এরাই দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বড় বাঁধা।
তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এসকল সাউথ ইন্ডিয়ান ভিলেন টাইপের অর্থনৈতিক মাফিয়া ব্যবসায়ীদের কুকাম বা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু বলবো না। কারন জাতীয় চরিত্র ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলেও লাভ নেই।
– শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, রাজনৈতিক, আইন ও সমাজকর্মী