চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি:
বিচ্ছিন্ন চর কুকরি-মুকরিকে মূল ভূ-খন্ড ভোলার চরফ্যাশনের সঙ্গে ক্রসড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে সংযুক্ত করে রপ্তানীযোগ্য স্বাদু পানির রিজার্ভার সৃষ্টিসহ ভূমি পুনরুদ্ধারে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর মোহনা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় চরফ্যাশন উপজেলার দৃষ্টি নন্দন প্রাকৃতিক পরিবেশমন্ডিত পর্যটন এলাকা চর-কুকরি সংলগ্ন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর এ মোহনা পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদে অপার সম্ভাবনাময়। মেঘনা নদীর মোহনায় চর কুকরি-মুকরি অবস্থিত। চর কুকরি মুকরির যে দিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এখানকার মনোরম পরিবেশ ও সমুদ্রের নির্মল বায়ু ,সুন্দরবনের মতো দেখতে উপক‚লীয় সবুজ বেষ্টনী। যা পর্যটন স্পট হিসেবে সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভোলার মূল ভূ-খন্ডের সাথে চর কুকরি-মুকরিকে যুক্ত এবং মোহনায় রিজার্ভার তৈরী করে স্বাদু পানি সংরক্ষণ ও রপ্তানী করা সম্ভব। এ প্রকল্পটির পর্যালচনা চলমান। আমরা খুব শীঘ্রই একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করব। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চর কুকরি-মুকরি দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে পরিনত হবে। এছাড়াও চরাঞ্চলবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থারও আমুল পরিবর্তন আসবে। পরে জেলে ট্রলারসহ আমদানী রপ্তানীতে নৌ-চলাচল ও কৃষি উন্নয়নে সেচ সুবিধার কল্পে কুকরি-মুকরির খাল সমূহ পুনঃখননে প্রস্তাবনা প্রেরণের নির্দেশ দেন তিনি।
তাছাড়া চরফ্যাশন উপজেলার সর্বদক্ষিনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর এর ভাঙন কবলিত স্থান ও তারুয়া সী-বীচ পরিদর্শন করেন। ঢালচর ইউনিয়নের উত্তর মাথায় সিসি ব্লক ও জিও-ব্যাগ ফেলে মেঘনার ভয়াল থাবা হয়ে রক্ষা এবং ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস হতে পরিত্রানে ঢালচর ইউনিয়ন এর চারদিকে বেড়ীবাঁধ নির্মাণসহ দ্র্রুত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিলের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, চরফ্যাশন, ভোলা কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শন কালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক,সাবেক অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মোতাহার হোসেনসহ ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।