সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট : কারা মানব পাচারে জড়িত, অর্থ পাচার করেছে তা পরিষ্কার। তারা যে দিন দেশে ফিরে, বিমানবন্দরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নেয় বিভিন্ন সংস্থার লোকজন। আশা করেছিলাম, শিগগির দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু তা হয়নি, মিথ্যা অভিযোগে হতদরিদ্র লোকগুলো জেলে পাঠানো হলো। অবশ্য তারা জেলের বাইরে থাকলে দায়ী এজেন্সীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতো। তবে কি সে জন্যই অপরাধীদের আড়াল করার জন্য ভিকটিমদের আবারো ভিকটিমাইজড করা হচ্ছে বলে শুক্রবার সোজা কথা ডটকম আয়োজিত এক লাইভ অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রশ্ন রাখেন।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা লন্ডন সময় বিকাল ৪টায় ভিয়েতনাম থেকে ফেরত আসা ৮১ জন জেলে কেন?? শীর্ষক সোজাকথা ডটকম লাইভের ৩৬ তম পর্বে বক্তারা আরো বলেন- আদালতে অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, ভিয়েতনাম ফেরতরা নাকি দিয়াবাড়ির কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকাকালে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার উদ্দেশ্যে তারা সলাপরামর্শ করিত। সেনা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টিন ক্যাম্পে রাষ্ট্র বিরোধী সলাপরামর্শ হতো ? পুলিশ শুধু এই প্রবাসীদের না, সেনা নিয়ন্ত্রিত কোয়ারেন্টিন ক্যাম্প সম্পর্কেও বিরূপ অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এরা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। তাহলে যারা মানব পাচার করেছে, অর্থ পাচার করেছে, তাতে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে? অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের বাংলাদেশে অপরাধে জড়ানোর সম্ভাবনা রহিয়াছে। তাই জেলখানায় রাখা দরকার। সম্ভাবনাময় এই অপরাধীদের কেন জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র দিয়েছে? সম্ভাবনাময় এই অপরাধীরা যখন দেশ ত্যাগ করলো, তখন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কি করেছে?
লাইভে অতিথি আলোচক ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র ( আসক) -এর সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর আবু আহমেদ ফয়জুল কবির, বাংলাভিশন-এর মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি জি এম হাজারী, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান এবং নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু জন ভিকটিম। সঞ্চালনায় ছিলেন সোজা কথা ডটকম-এর সম্পাদক (অ:), মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী এডভোকেট শাহ আলম ফারুক।
লাইভে বক্তারা অবিলম্বে পাচারের সাথে জড়িত দালাল, এজেন্সী, বিএমইটি সহ দূতাবাসের ভূমিকার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।