সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার খোমস উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত: ৭৪ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ থাকা লোকজনকে উদ্ধারে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে কোস্টগার্ড। সঙ্গে স্থানীয় জেলেরাও আছেন। বন্দরনগরী খোমস লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
আইওএম জানিয়েছে, নৌকাটিতে অন্তত ১২০ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু ছিল। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। আর এখন পর্যন্ত ৩১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সবশেষ এ ঘটনাকে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ‘সিরিজ’ ট্র্যাজেডির অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছে আইএমও। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে আরও অন্তত আটটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
আইএমও জানিয়েছে, গত দুই দিনে মধ্য ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় আরও অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন।
আইএমও জানিয়েছে, ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে চলতি বছর অন্তত ৯০ জন মানুষ ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৪ থেকে গত সাত বছরে সমুদ্রপথে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা আবার বেড়েছে। অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী সমুদ্রপথ বেছে নিচ্ছেন। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় পথেই অনেকে সবচেয়ে করুণ পরিণতি বরণ করছেন।
আবার যারা বেঁচে থাকেন তাদের মধ্যে অনেককে ইউরোপ থেকে লিবিয়াতে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে এ সব লোকজনের উপর সেখানে মানবাধিকার পরিপন্থী নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায়।