ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীন থেকে শুরু হলেও জানুয়ারির শেষে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে করোনাভাইরাস। তিন মাসের মাথায় গত ২ এপ্রিল ১০ লাখ ছাড়ায় করোনা শনাক্ত। ১৫ এপ্রিল এটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১ লাখ ১ হাজার ৮০০ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।
বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুরুতে করোনা শনাক্তে চীন এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রে চলে আসে ইউরোপ। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের মতো দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে করোনা মোকাবিলায়। তবে এপ্রিলে সব ছাপিয়ে শীর্ষে চলে আসে উত্তর আমেরিকার শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এখন এ দেশটিতেই করোনা শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৯ জনের। আর দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা শনাক্ত হওয়া শীর্ষ ছয়টি দেশ ইউরোপের। এর মধ্যে স্পেনে শনাক্ত ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২ জন ও মৃত্যু ২৩ হাজার ৫২১ জন। ইতালিতে শনাক্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৪ ও মৃত্যু ২৬ হাজার ৯৭৭ জন।ফ্রান্সে শনাক্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ২২০ ও মৃত্যু ২২ হাজার ৮৯০ জন। জার্মানিতে শনাক্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪২ ও মৃত্যু ৫ হাজার ৯৮৫ জন। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ০৩৮ ও মৃত্যু ২০ হাজার ৭৯৭ জন। তুরস্কে শনাক্ত ১ লাখ ১০ হাজার ১৩০ ও মারা গেছে ২ হাজার ৮০৫ জন। এর পরের দেশ ইরান । ইরানে শনাক্ত হয়েছে ৯১ হাজার ৪৭২ ও মারা গেছে ৫ হাজার ৮০৬ জন।
প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০ দেশ থেকে বেরিয়ে গেল চীন। চীনে নতুন শনাক্তের হার এখন অনেক কম। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চীনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৯১২ জনের ও মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৭ জন। দেশটিতে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গেছে ৭৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য বলছে, দেশে করোনার পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নতুন রোগী।দেশে করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত ৫১ দিন পার হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৯১৩ জনের। আর মারা গেছেন ১৫২ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা