আরিফুল হক, রোম (ইতালী) থেকে
মঙ্গলবার কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে মিলানে সহিংস দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধে ২৮ জনকে ফৌজদারী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ইতালীরর বেশ কয়েকটি শহরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তুরিন। নেপলস এবং রোমেও একই দৃশ্যের অবতারনা হয়।
মিলানে উল্লেখিত ২৮ জনের মধ্যে ১৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক যাদের অতীতেও কিছু ছোটখাটো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।
২৮ জনের মধ্যে ১০ জন বিদেশী এবং ১৮ জন ইতালীয়ান। এর মধ্যে অরাজকতার সাথে যুক্ত এক যুবতীও ছিল।
সরকার সিন্ধান্ত নিয়েছে যে বার এবং রেস্তোঁরাগুলিকে সন্ধ্যা ৬ টার পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, যখন ইতালীর বেশ কয়েকটি অঞ্চল রাতে কারফিউ জারী করেছে।
ইতিমধ্যে তুরিনে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের অভিযোগে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এক ব্যক্তিকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ ডাস্টবিনে অগ্নিসংযোগ করার সময় গ্রেফতার করা হয়। দু’জন মিশরীয় নাগরিক, যার মধ্যে একজন ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক, স্বনামধন্য ব্রান্ড “গুচি’র” একটি দোকান লুট করার সময় গ্রেফতার করা হয়। তিনজন ইতালীয়ানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং “লুইস ভুইটনে’র” একটি দোকানে লুটপাটের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে। তুরিনে সহিংসতায় প্রায় এক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
তুরিনের মেয়র কিয়ারা অ্যাপেন্ডিনো বলেন, “কিছু অপরাধীর হিংসাত্মক কর্মকান্ড দোকানদার, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে সহিংসতার মাধ্যমে কলঙ্কিত করেছে।”
ফেইস বুকের মাধ্যমে এক বার্তায় তিনি বলেন, “এটি প্রতিবাদ করার জন্য নয় বরং ধ্বংস করার জন্যই সংগঠিত হয়েছিল।”
সোমবার, রাষ্ট্রপতি সার্জিও মাত্তারেল্লা এক বার্তায় জনগণকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, ভাইরাসই হচ্ছে আমাদের একমাত্র শত্রু, এই ভাইরাসের কারণেই বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সূত্র : (ANSA)