বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, টাইপ–২ ডায়াবেটিসের প্রায় ৭০ ভাগ প্রতিরোধযোগ্য। এ রোগ যদি হয়ে যায় তা সারা জীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে রাখলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আর করোনা হলে তা আরও মারাত্মক হবে বলে জানান এ কে আজাদ।
ডায়াবেটিস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়বেটিস সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’। এ বিষয়ে এ কে আজাদ বলেন, নার্সরা সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে রোগীকে ডায়াবেটিস সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবেন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে চাইলে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে তিনি জানান।
ডায়াবেটিস নিরাময়যোগ্য নয় উল্লেখ করে ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, শুধু ডাক্তারের একক চেষ্টায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব না। রোগী ও তার পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করতে হবে। আর হওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চললে ভালো থাকা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ কোটি। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৮৪ লাখ এবং অর্ধেকের বেশি নারী বলে জানানো হয়। এ ছাড়া জানানো হয়, ডায়াবেটিস আছে এমন অর্ধেকের বেশি মানুষ জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রতি ১০০ জনের ১০ জন নারীই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। যাঁরা পরবর্তী সময়ে টাই–২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন। ডায়াবেটিক সমিতি জানায়, দেশে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৬০ শতাংশকে সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ডায়াবেটিক সমিতি নিজেদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে। এ ছাড়া এ বছর ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করে ডায়াবেটিক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রকাশনা ও জনসংযোগ পরিচালক ফরিদ কবিরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক কাইয়ুম চৌধুরী, সমিতির সচিব মুহম্মদ আবু তাহের খান।