ডেস্ক রিপোর্ট: সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় দৈনিক যুগান্তরের সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারিকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে। হুমকি দেওয়ার অডিও রেকর্ডটি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে। এ ঘটনায় মতিউর রহমান শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। চেয়ারম্যান রাজীব সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।
অডিওতে শোনা গেছে, প্রথমে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সায়েম মোল্লা ফোন দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তার সঙ্গে কথা বলবেন। এ সময় চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব তার পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমার ইউএনও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কীসের ভিত্তিতে তুমি লিখেছো? আমিও পত্রিকা চালিয়েছি কিছুকাল। কবে আসছো সাভারে, ভিসা কার কাছ থেকে নিয়েছো তুমি? এত খোঁচাইয়ো না, উপজেলা পরিষদে কিন্তু মঞ্জুরুল আলম রাজীব বসে থাকে। বেশি বাড়াবাড়ি কইরো না।’
সাংবাদিককে শাসিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি কত বড় সাংবাদিক হয়ে গেছো যে সাভারের নির্বাহী অফিসারকে প্রশ্ন করো? এটা কুড়িগ্রামের ইউএনও পাও নাই। তোমার পেছনে আজকে থেকে মনে করবা আবার অন্য ধরনের কিছু সাংবাদিক ঘুরবে। তোমার সম্পাদককে বইলা রাখো তুমি।’
ওই সাংবাদিক বলেন, এখন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন চেয়ারম্যানের লোকজন যেকোনও সময় তার ওপর হামলা চালাতে পারে। ওই চেয়ারম্যানের লোকজন তার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, সাভারের বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে করোনা ফান্ডের কথা বলে ৫০ হাজার করে টাকা আদায় করেছেন ইউএনও। এসব চেয়ারম্যান জানেন না এই টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউন-এ ‘ইউএনও’র ত্রাণ ফান্ডে নিজেদের দেওয়া অনুদান কোথায় খরচ জানেন না ইউপি চেয়ারম্যানরা’ শিরোনামেসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচার হয়।