ডেস্ক নিউজ: অন-অ্যারাইভাল (বাংলাদেশে আগমনী) ভিসা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ৭ মে পর্যন্ত সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী ভিসা বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত থাকবে।
শুক্রবার (১ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে পাঠানো ‘কোভিড-১০ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন ও ভিসা সংক্রান্ত হালনাগাদ নির্দেশনা’য় এ কথা জানানো হয়েছে।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিতের মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সব ধরনের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। পর বন্ধ হয়ে যায় বিমান যোগাযোগও। পরে দফায় দফায় বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে বাড়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিতের মেয়াদও। সর্বশেষ বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদও ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
হালনাগাদ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ভিসাপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিক বা যারা নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তাদেরকে ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত কোভিড-১৯ লক্ষণমুক্ত বলে চিকিৎসকদের সনদ দেখাতে হবে এবং বাংলাদেশে আগমনের সময় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জমা দিতে হবে।
এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোভিড-১০ আক্রান্ত যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে বা বিদেশি নাগরিকের বাংলাদেশে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে বন্দরগুলোর মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বর্তমান ভিসা তাদের আবেদনের বিপরীতে ভিসা ফি এবং জরিমানা পরিশোধ ছাড়া তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৫ জনে।
এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫২ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৭৯০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনসহ মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭৭ জন।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।