বিশেষ প্রতিবেদক: অবশেষে এক রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে দেলদুয়ারের আলোচিত ঘটনায় টাংগাইল পুলিশ সুপার ও দেলদুয়ার থানার ওসি কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনা এজাহার গ্রহন করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।
৩০ জুন সোজা কথা ডটকম-এ “দেলদুয়ারের ওসি বললেন ১ জুলাই আসেন এ মাসে মামলা বেশি হয়েছে!” শীর্ষক এক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ প্রথমে মারধর ও হত্যা চেস্টার ঘটনা ঘটেছে ২৫ জুন, একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় পরদিন ২৬ জুন এলাকার মাদক, মাটি ও বালু কাটা চক্রের একই সন্ত্রাসীরা অন্ডকোষে হাতুড়ি দিয়ে মূমূর্ষূ করে আগের দিন যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে সেই ব্যারিস্টার আশরাফের গ্রামের এক দিনমজুর যুবককে।
ঘটনা দুটি ঘটেছে ২৫-২৬ জুন, কিন্তু থানার ওসির পক্ষ থেকে ১ জুলাইতে মামলা করতে আসতে বলা হয়েছে।
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফ জানান- ওসি, দেলদুয়ার এখন বলছে, জুলাইয়ের ১ তারিখে আসেন, এ মাসে আামদের থানায় অনেক মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ২৫/০৬/২০২০, বৃহস্পতিবার সকাল ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়ি যাবার পথে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফকে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার লাউহাটী বাজারের কাছে প্রকাশ্য জনসমক্ষে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
মি: আশরাফ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এবং বংগবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে নিজেকে বর্ণনা করে বলেন – আমার বিজ্ঞ আইনজীবী বন্ধুরা, আমাদের বারের সভাপতি মহোদয়, রাজনৈতিক সহকর্মী, বড় ভাই, নেতা এবং প্রশাসনে থাকা সকল শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে রক্ষার জন্য আপ্রান চেষ্টা করেন, আমি জীবনে রক্ষা পাই।তার পরের দিন ২৬/৬/২০২০ শুক্রবার, আমার গ্রামের একটি ছেলে কিরন (পিতা মৃত্যু- ভুলু মিয়া, গ্রাম – কাতুলী) পাশের গ্রাম লাউহাটীতে মসজিদ নির্মানের কাজে শ্রমিক হিসাবে যাওয়ার পথে তাকে কুপিয়ে, অন্ডকোষে হাতুড়ি দিয়ে মেরে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।৩০ জুন রিপোর্ট ছাপা হওয়ার সময় কিরন (২৫) টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম জানান- কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করা হয়।শুনানীশেষে রোববার হাইকোর্টর মাননীয় বিচারপতি জে. বি. এম হাসান, টাংগাইল পুলিশ সুপার ও দেলদুয়ার থানার ওসিকে উক্ত বিষয়টিতে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এজাহার গ্রহন করার নির্দেশ প্রদান করেন।