যে কোন সমাজ ও দেশের বিকাশে এর গণবুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সমাজের আজকের এই যে পিছিয়ে থাকা; গ্রামীণ রাজনীতির আদলে মাজার কেন্দ্রিক লালসালু গণতন্ত্র; এই দিনের চেয়ে অন্ধকার সকাল; উত্তরণের সব পথ রুদ্ধ হবার কারণ; বাংলাদেশের “সাতে পাঁচে থাকিনা” টাইপের গণবুদ্ধিজীবী আর “ও মানুষ তোমার দুইটা চোখ দেখবা, দুইটা কান শুনবা, কিন্তু মুখ একটা তো; কথা কম কবা” টাইপের ধামাধরা বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশ সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশকে নিরাপদ বারান্দায় বসে থাকা “বামন” করে রেখেছে।
বাংলাদেশ ভিলেজ পলিটিক্সে পলিটিক্যাল পার্টির ফুট সোলজার দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে, কিংবা দলীয় “লা গোবরিনা ফেস্টে”র লোকেদের দিয়ে প্রতিবাদী বুদ্ধিজীবীর বাসার বারান্দায় “গোবর নিক্ষেপ করে” কিংবা ফেসবুকে “গান্ধা কইরা দিয়ে” খোঁড়া বা খঞ্জ বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে লোকজ-বুদ্ধিবৃত্তির কাজটি চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অশিক্ষিত বর্বর খুনে শাসক বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে উঠেছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে বুদ্ধিবৃত্তিক হত্যা বা পঙ্গু করে দেয়া; একদিনও থেমে থাকেনি।
একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার ট্রমার কারণে বাংলাদেশের গণবুদ্ধিজীবীরা আর সাহসী হবার কথা ভাবতে পারেনি। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু পড়ালেখা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে গুরুত্ব দিলেও; উনার দলের ফুটসোলজারেরা “সূর্যের চেয়ে বালি গরম হয়ে” সরকার সমালোচক বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফাকে তাড়া করে বলে, ধর হারামজাদারে।
সেই থেকে কী আওয়ামী লীগ কী বিএনপি আমল; বুদ্ধিজীবীকে প্রতিবাদ করতে দেখলেই দলীয় পান্ডারা তাকে “ধর হারামজাদারে” বলে তেড়ে আসার বর্বর সংস্কৃতি জন্ম নেয়।
গণবুদ্ধিজীবীরা তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মন্দিরে পুরোহিত হয়ে ‘ব্রাহ্মণ’ সেজে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় পার্টির মসজিদে ইমাম হয়ে ‘আশরাফ’ হবার পথ বেছে নেয়। বুদ্ধিজীবীকে যে কোন কাজ করার জন্য সরকারের নানা অনুমোদন নিতে হয়; তা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র হোক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হোক। এমনকী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি হোক বা পরিবেশ আন্দোলন হোক; রাজনীতির মাজারের সহযোগিতা ছাড়া বাংলাদেশে কোন কাজ করা সম্ভব না। কারণ পেশীতন্ত্রে বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে বেশিদূর এগোনো যায় না। দুধভাত হয়ে বসে থাকতে হয়। অথবা “ধর হারামজাদারে” গালি শুনতে হয়।
আমার ব্যক্তিগত ঝোঁক বুদ্ধিবৃত্তিক দিকে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি সবগুলোর মন্ত্রীসভায় আত্মীয়-বন্ধু থাকায় রাজনৈতিক দলাদলির আঁচ কখনোই আমার গায়ে লাগতে পারেনি। বুদ্ধিবৃত্তিক সক্রিয়তার জন্য বিতর্কের মাধ্যমটি বেছে নিই শৈশবে। জিয়ার হাত থেকে বিতর্কে জাতীয় পুরস্কার নিই। এরশাদের হাত থেকে চ্যাঞ্চেলর পুরস্কার নিই একাডেমিক সুকৃতির জন্য।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়ে যাই দলীয় ক্রসফায়ারের রিং রোডে। কিন্তু বিতর্ক আন্দোলনের মাঝ দিয়ে একটা বোঝাপড়া তৈরি হয় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে। সে সময়ের ছাত্র নেতারা শিক্ষিত ও সুরুচির ছিলো। ফলে তারা বিতর্ক আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করে। জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ান দলের বিতার্কিক হয়ে পড়ায়; বিশ্ববিদ্যালয় সম্বর্ধনা দিলে; ছাত্রনেতারা আরও বন্ধু হয়ে পড়ে। বিতর্ক আন্দোলনে সম্ভব সব সহযোগিতা তারা করে। উপনির্বাচনে জালিয়াতির কারণে খালেদার হাত থেকে পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানালেও ছাত্রদলের নেতারা তাতে কিছু মনে করেনি। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন গণবুদ্ধিজীবী তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের বড় ভাইয়েরা যারা নব্বুই এর গণ অভ্যুত্থানে এরশাদ পতন ঘটিয়েছিলেন, তারা একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলেন।
দুর্ভাগ্যক্রমে সেই ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোনদলই না করায়; ব্যবসায়ীদের রাজনীতিতে এনে গ্রাম্য সামন্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। তখন গণবুদ্ধিজীবীকে ধর হারামজাদার পরিবর্তে “হারামজাদারে জেলে দে” কিংবা “হারামজাদারে চাপাতি মার” কালচার শুরু হয়।
সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে ১৯৯৫ নভেম্বর থেকে ২০০২ জুলাই পর্যন্ত কাটানোর সময় জাতীয় দৈনিকে “স্যাটায়ার লেখা’-র অত্যন্ত ভালো প্রতিক্রিয়া পাই বাংলাদেশ কালের শেষ রাজনীতিক- রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে। একই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে “জনগণের প্রশ্নঃ প্রধানমন্ত্রীর উত্তর” বেতার-টেলিভিশন অনুষ্ঠান করার কারণে; এই প্রথম বিএনপির অপছন্দের হয়ে উঠি। কিন্তু আমার নিজের কাছে নিজের একটি প্রতিজ্ঞা ছিলো; বিএনপি বা আওয়ামী লীগের জুতো আবিষ্কারের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কখনো করবো না। সুতরাং জার্মানিতে চলে যাই ডয়চেভেলেতে কাজ নিয়ে; কারণ লেখালেখির জন্য ভূগোল তখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।
২০০২-২০০৬ কালে বিএনপির “দৈনিক দিনকালে” আমার দিকে বিএনপির গোবর ছোঁড়া হয়। পরিচিত গোবর, আওয়ামী লীগ ও ভারতের দালাল ইত্যাদি। ওদের দুই ইঞ্চি চিন্তার গজফিতায়; হয় আপনি আওয়ামী লীগ কিংবা আপনি বিএনপি। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ব্যাপারটা বোঝার মতো বুদ্ধি থাকলে তো আর কাউকে গোবর ছোঁড়ার চাকরি করতে হয় না; পেট চালাতে। কিন্তু আমি তখন ট্যাক্সিতে ও ট্রামে ঘুরি; ফলে গোবর এসে জানালার কাঁচে লেগে যায়। আমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।
এর মাঝে ভারতের বুদ্ধিজীবী খুশওয়ান্ত সিং-এর বই পড়তে পড়তে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামীণ রাজনীতির নানাদিক সম্পর্কে জানতে পারি। তিনি রাজনীতিতে কিছুটা অংশ নিয়ে এর অন্দরমহল দেখেছিলেন। দেশে ফিরে দুধভাত বিকল্পধারার সঙ্গে মাস তিনেক ইনটার্নশিপ করে; বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হয়; আর প্রান্তিক ভোটার কারা এটা দেখতে নির্বাচনে অংশ নিই জামানত হারানোর মানত নিয়ে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে লালসালুতন্ত্রের নিবিড় গ্রামের পুতুল নাচের ইতিকথা সম্পর্কে একটি ইংরেজি গ্রন্থ লেখার কাজ চলছে।
কিন্তু এই যে বিকল্পধারার সঙ্গে তিনমাসের একটি সম্পর্ক ওটার অজুহাত দিয়ে; ড্রপ-আউট-খারাপ ছাত্ররা তখন বিটিভিতে আমাকে বিতর্কের বিচারক হতে দেখে ক্ষেপে গেলো। আমিও ভাবলাম, গরীবের পেটে লাথি না মেরে ওদের জন্য বাতাবি লেবুটা ছেড়ে রেখে; নিজেই একটা ওয়েব টিভি বানাই। ঢাকায় আমার আওয়ামী লীগের বন্ধুরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাতে বললো লীগের মিডিয়া ভিক্ষুকদের বদমায়েশির কথা। ছোট খাটো ব্যাপারে নিজের মাকেও কখনো বিব্রত করিনি; সুতরাং দেশ চালাচ্ছেন যিনি; তার কাছে আমি বাচ্চাদের মতো অভিযোগ নিয়ে যাবো; এটা হয় না।
একথা স্বীকার্য যে বাংলাদেশের যে কোন মন্ত্রীসভায় ও সিভিল-মিলিটারি ব্যুরোক্রেসিতে পরিচিত বন্ধু আছে এবং থাকবে; কিন্তু তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বের। “কানেকশান” শব্দটি বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ব্যাহত করে।
ঢাকায় বনসাই হয়ে থাকার চেয়ে দক্ষিণ এশিয়াটাকে আরো বুঝতে বিশেষত ডয়চেভেলেতে কাজ করার অভিজ্ঞতায় “ওয়ার অন টেররের” শেকড় খুঁজতে ও ভূতের নাচন দেখতে পাকিস্তানে চলে যাই। ইউরোপে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার কারণে মাল্টিমিডিয়া বিষয়ে উপদেশনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া স্টাডিজ পড়ানোর কাজ পাওয়া; কোন সমস্যা নয়। বুদ্ধিকে জীবিকা করে স্বচ্ছন্দ জীবন-যাপন সব সময়ই সম্ভব। আরেকটা বড় সুবিধা হচ্ছে, আমি উর্দু বলতে না পারায়; কেবল ইংরেজি বলতে পারে যারা; তাদের সঙ্গেই মিশি; ফলে পাকিস্তানের কেবল উর্দু জানা পলিটিক্যাল ফুটসোলজারদের পক্ষে আমার ধারে কাছে ঘেঁষা সম্ভব নয়। এ এক বিমলানন্দের ব্যাপার।
এ সময় শাহরিয়ার কবির পাকিস্তানে আসেন একাত্তরের গণহত্যা বিষয়ে নাগরিক সমাজকে অবহিত করতে। আমার স্ত্রী যেহেতু পাকিস্তানি সাংবাদিক আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে জামায়াতের ফুটসোলজারদের সঙ্গে লড়াই করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া মেয়ে; সুতরাং তার সাহায্য নিয়ে করাচি প্রেসক্লাবে গড়ে তোলা হলো একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির পাকিস্তান শাখা “সেক্যুলার ফোরাম”। শাহরিয়ার কবির ভাই সাহসী মানুষ; আর আমি সাহসী না হলেও দুর্বিনীত হতে জানি; ফলে একাত্তরের গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরতে কোন অসুবিধা হয়নি। পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত নেশান ওয়াইড মাস্ত এফ এম রেডিওতে পাঁচ বছর একটি বাংলা শো চালাই; বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার “অসাম্প্রদায়িক মননের” লোকেদের ফোনে যুক্ত করে। এই শো চলার সময় পুলিশ ভ্যান রেডিও স্টেশানের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। কেননা রেডিও স্টেশানে নিয়মিত হুমকি আসতো। তাতে কী; আমি ডরাই কভু ভিখারী রাঘবে!
কৌতুককর বিষয় হচ্ছে; এই সময় যেহেতু পাকিস্তানে থাকি; আওয়ামী লীগের সচলায়তন ব্লগে আমাকে গোবর ছোঁড়া হলো; পাকিস্তানের দালাল বলে। কিন্তু তাতে কী; আমি তখন গাড়িতে চড়ি; বিমানে চড়ি; তাই এই গোবরায়তনের গোবর জানালার কাঁচে লাগে। আমি পর্যন্ত পৌঁছাবে বলদা রায়ের গোবর সে সুযোগ কোথায়।
সিভিল সার্ভিসে কাজ করার সময় বাংলাদেশ বেতারে ও ডয়চেভেলেতে সাংবাদিকতা করার সময়; স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভেটেরান ব্রডকাস্টারের কাছে মিডিয়া প্রশিক্ষণের সুযোগ পাই। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিঘাতে মুক্ত মিডিয়ার ধারণা বিস্তৃত হওয়ায়; স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠায় আর কোন বাধা নেই। ছুটলে আমায় থামায় কে! ই-সাউথ এশিয়া ওয়েব টিভি; সেই ছুটে চলার মাধ্যম।
আর “দৈনিক দিনকাল” কিংবা “সচলায়তনে”র ওপর আমার ক্ষোভ নেই। কারণ আমি বুঝি; অপেক্ষাকৃত বঞ্চিত শৈশবে বিষিয়ে ওঠে মানুষের মন। পেটের ভাতের জন্য দলীয় গোবর ছোঁড়ার কাজটি করার চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কিছুই হতে পারে না। আমি প্রার্থনা করি, এদের সন্তানেরা যেন আমার মতো নিঃশংকচিত্ত জীবন পায়, নিজের হাত দুটি খাটিয়ে সৎ অন্ন সংগ্রহ করতে পারে।
কিন্তু আমার গভীর অনুযোগ রয়ে গেলো খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার প্রতি; তাদের দুজনের বিংশ শতকের শাসনকালে যে বাংলাদেশের নাগরিক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের জন্য পুরস্কার ও প্রশংসা পেলো; তাকে তাদের কাজের ছেলেরা গোবর ছুঁড়ে ভারত ও পাকিস্তানের দালাল তকমা দিতে চেষ্টা করলো। শৈশব থেকে বাংলাদেশ আমার অহংকার; সার্বভৌম বিকাশের প্রিয় মাতৃভূমি; আত্মপরিচয়ের বাতিঘর। সেইখানে বাংলাদেশের চেয়ে সামাজিক সূচকে পিছিয়ে থাকা ভারত ও পাকিস্তানের দালাল বলাটা অমার্জনীয় অপরাধ। মুখে যা আসবে তা বলে দেয়াটা অন্য বুদ্ধিজীবীরা মেনে নিলেও; আমি তা কখনোই সহ্য করবো না। “অপরাজেয় বাংলা’র ঐতিহ্যের অস্থিধারণ করে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নাগরিককে রাজনীতির লাইসেন্স পেয়ে ডিফেম করার ও মানহানিকর বক্তব্য দেবার অপসংস্কৃতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবার অপরাধ ইতিহাস প্রামাণিক তথ্য সহ রেকর্ড করে রাখবে।
অপারেশান ক্লিনহার্টের বিরুদ্ধে ডয়চেভেলেতে সিরিজ অনুষ্ঠান প্রচার করেছি; অপারেশান ক্লিন হেডের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিখেছি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে চলেছি; কারণ মানবতা বিরোধী এই “ক্রসফায়ার অপরাধ” বিচারযোগ্য। একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধ আর ২০০২-২০২০ বাংলাদেশ কালের মানবতা বিরোধী অপরাধ; এই দুটি একই রকম ক্ষমতা রাক্ষসের হুংকার। এই অন্ধ অক্ষম লোমওঠা নেকড়ের বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কালের নরভোজি ক্ষমতা-রাজনীতির প্রদীপ ঘষে ভীতির জনপদ সৃষ্টি করে দেশ লুন্ঠনের ঠগ ও প্রতারকের অন্ধকার কাল; স্বদেশী উপনিবেশবাদের বিভীষিকার সময়। সভ্যতার পাদপ্রদীপে যেতে এইসব নরভোজি; পাওয়ার প্ল্যান্টের নাগ-নাগিনীর খেলা বন্ধ করতে হবে।
– মাসকাওয়াথ আহসান
সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষক
এডিটর-ইন-চীফ, ই সাউথ এশিয়া