সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিকটমের ছবি সচেতন মানুষকে আলোড়িত করেছে। বাবা মাকে ভর করে ধর্ষণের শিকার নারী ঘটনার অব্যবহিত পর চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। তবে ছবিটি কে ধারণ করেছে সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য জানা যায় নি।
এদিকে একই ঘটনায় চট্টগ্রামসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে খাগড়াছড়িতে আদিবাসী এক বাড়িতে ডাকাতি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাদের ভাষায় ‘তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে আটক সাতজনের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের বলপাইয়া আদাম এলাকায় বুধবার গভীর রাতে সংঘটিত এই ডাকাতি ও ধর্ষণের এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়েরের পর আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
মামলার বাদীর অভিযোগ, ডাকাত দলের ৯ সদস্য তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৬) হাত, পা ও মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে তারা কানের দুল, আংটিসহ অন্তত ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়।
এদিকে শনিবার খাগড়াছড়ি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে ধর্ষণের শিকার নারী বাড়ি ফিরে গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পূর্ন জীবন চাকমা জানান, ভিকটিম শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল ছিলেন। চিকিৎসার পর শঙ্কামুক্ত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুর রশীদ জানিয়েছেন, আটক সাতজনের সবাইকে আপাতত সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। এদেরকে নিয়ে এখনও অভিযান চলছে। তিনি আশা করেন- শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকেই আটক করা সম্ভব হবে।
ছবি ছাপানোর বিষয়ে আমাদের ব্যাখ্যা:
ভিকটিমের পরিচয় ও তার কোন প্রকার ছবি ছাপানো আমাদের সম্পাদকীয় নীতিবিরুদ্ধ বিষয়। আমাদের বিবেচনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত এই ছবিটির একটা বিশেষ মানবিক আবেদন রয়েছে। যা এই ঘরণের বর্বরতার ক্ষেত্রে একটা প্রতীকী ছবি হয়ে উঠতে পারে।