চরফ্যাশন প্রতিনিধি
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনরায় দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার লোকেরা।
ভোলার চরফ্যাশন পৌর শহর চরফ্যাশন বাজার জনতা রোড পূর্ব মাথা (লঞ্চ ঘাট) এলাকায় খাল পাড়ের দুপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ৫শত মিটার দৈর্ঘ্যরে জায়গার মধ্যে প্রায় এক দশক ধরে অবৈধ ভাবে দখলে থাকা দখলদারদের ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদের বছর না-যেতেই প্রশাসনের নাকের ডগায পুনরায় দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম গংরা।
জানা যায, গত গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত খাল পাড়ের অবৈধ গড়ে উঠা পাকা ভবন, আধাপাকা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ এবং থানা অফিসার ইনচার্জসহ একদল পুলিশ সদস্য। সেই থেকে প্রায় ৯মাস চুপচাপ থাকলেও আবারও দখল নেশায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে কাশেম গংদের । গতকাল লঞ্চ ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নতুন করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে । আর সেই কাজ তদারকি করছে কাশেম মিয়ার ছোট ভাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সংগঠনিক সম্পাদক কাজল।
চরফ্যাশন উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান,চরফ্যাশন পৌর শহরের মাঝে দিয়ে বয়ে যাওয়া মান্ধাতলি খালটির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পর আবারও নতুন কর দখল করার বিষয়টি দু:খ জনক । চরফ্যাশন শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও পরিবেশ বাঁচাতে বাজার সংলগ্ন খাল এবং জলাশয় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বোপরি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ সহ স্থায়ীভাবে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল হয়ে না যায়, এজন্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। তা না হলে উচ্ছেদ অভিযান কাগজে কলমেই থেকে যাবে।
এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ঘর তোলার বিষযটি আমাদের জানা ছিল না আমি এখনই প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি দ্রুত সময়ে প্রযােজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, বিষযটি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।