সোজা কথা ডেস্ক রিপোর্ট
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের ম্রোদের জমি থেকে উচ্ছেদ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সিকদার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আর এন্ড আর হোল্ডিংস কর্তৃক পাঁচতারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে কোথাও পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার পূর্বে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে স্থানীয় জনগণের স্বাধীন ও পূর্ব সম্মতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী বিরোধী ছাত্র ঐক্য।
এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা মনে করি, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা হচ্ছে ভূমি সমস্যা। জিয়াউর রহমানের সময়কালে চট্টগ্রামের জনমিতি পরিবর্তন করার জন্য সরকারি উদ্যেগে সমতল থেকে ৪ লক্ষাধিক ছিন্নমূল বাঙালিদের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা প্রকট ও জটিল আকার ধারণ করে। এই ভূমি সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে সেখানে উন্নয়নের নামে ভূমি বেদখল করে উপর্যুপরি পর্যটন স্পট করার ফলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে।
তারা বলেন, কোনো প্রকার নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অঘোষিতভাবে সেনাশাসন জারি রাখা হয়েছে, আপাতদৃষ্টে মনে হয় তাদের কাজই হচ্ছে পাহাড়ে উন্নয়নের নামে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে ভূমি বেদখলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতা করা এবং সর্বোপরি পাহাড়ি জনগণের ন্যায্য গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা। এমনকি সিকদার গ্রুপের মত চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও তারা তথাকথিত উন্নয়নযজ্ঞে সহযোগী বানাতে দ্বিধাবোধ করেনি।
বিবৃতিতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রধানতম সমস্যা ভূমি সমস্যার যথাযথ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনগণের স্বাধীন ও পূর্ব সম্মতি ব্যতিরেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের নামে ভূমি বেদখল করে যেকোনো পর্যটনশিল্প বন্ধের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ছাত্রনেতা ফয়সাল মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সুনয়ন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, আব্দুল মমিন, দপ্তর সম্পাদক, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন এবং সাঈদ বিলাস, সভাপতি, ছাত্র গণমঞ্চ।