ডেস্ক রিপোর্ট: জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে ইজরাইলি পুলিশ কর্তৃক নিরস্ত্র, প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় রোববার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এর আগে এমনটা করতে খুব বেশি দেখা যায়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার জন্য খুব দুঃখিত। আমি নিশ্চিত, দ্রুত এর তদন্ত হবে এবং একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী নিকোলে ম্লাদেনভও একই দিন এই হত্যার নিন্দা জানিয়ে এটিকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘যা উচিত হয়নি এবং এড়ানো উচিত ছিল।’ ম্লাদেনভ এক টুইট বার্তায় আহবান জানান- ‘কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এই জাতীয় ঘটনা যাতে না ঘটে।’
এদিকে নিহত তরুণের ভাই আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আইয়াদ হত্যার তদন্তের আদেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ—এমন সংবাদের কোনো মানে নেই আমাদের কাছে। আমরা জানি যে তারা সত্য উল্টে দেবে। তারা যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে কর্মকর্তারা তাঁকে আত্মরক্ষার জন্য মেরেছিলেন, আমরা অবাক হব না।’
এয়াদ হাল্লাক ( ৩২) পূর্ব জেরুজালেম ওয়াদি জোজের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ওল্ড সিটির একটি বিশেষ প্রয়োজনের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে সেখানে কাজ করতেন। ৩০ মে শনিবার স্কুলের খুব কাছাকাছি তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল। বলা হয়েছে কমান্ডারের নিষেধ সত্ত্বেও তার নেতৃত্বাধীন পুলিশ গুলি করে।
হাল্লাকের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি মিডিয়াকো বলেছে, ‘কাউকে আঘাত করার কোনো ক্ষমতা ছিল না এয়াদের।’
ইসরায়েলি অধিকার সংগঠন বিটিসেলেমের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত গত এক দশকে অধিকৃত ফিলিস্থিনি অংশ ও ইসরায়েলের মধ্যে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩ হাজার ৮০৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এয়াদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ছোটবেলায় অটিজম ধরা পড়ে তাঁর। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সমস্যা হতো। মিশতে পারতেন না।
তাঁর বাবা খায়েরি হাল্লাক জানান, তাঁর ছেলের মানসিক বিকাশ ৮ বছরের শিশুর মত ছিল। আশেপাশের জীবনের বিপজ্জনক বাস্তবতার বিষয়ে কোনো ধারণা ছিল না তাঁর।